ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

সখীপুরে আমরণ অনশনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

সখীপুর( টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

সখীপুর( টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ২, ২০২২, ০৭:৩৬ পিএম

সখীপুরে আমরণ অনশনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

টাঙ্গাইলের সখীপুরে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে সাত মাস ধরে একঘরে করে রাখার প্রতিবাদে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন ওই পরিবার।

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় সখীপুর প্রেসক্লাবের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের পাঁচ সদস্য অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এদিকে আজ বিকাল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ও গণির নেতৃত্বে  মুক্তিযোদ্ধাদের একটি  প্রতিনিধি দল এসে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে শরবত খাওয়াইয়ে তাদের অনশন  ভাঙান।

প্রতিবেশী এক নারীর বাড়িঘরে হামলা ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের জামাতা শেখ ফরিদ ওই মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে মসজিদ ভিত্তিক সমাজ থেকে একঘরে করে রাখেন বলে অভিযোগ করেন অনশনরত বীর মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলী। অনশনে তোরাব আলী, তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও নাতনি অংশ নেন। তোরাব আলী সখীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুজিব কলেজ মোড় এলাকার বাসিন্দা। এদিকে মুজিব কলেজ মোড় এলাকার মসজিদ ভিত্তিক সমাজের সভাপতি হচ্ছেন টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের মেঝ জামাতা শেখ ফরিদ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলীর ভাষ্য মতে, গত ৭-৮ মাস আগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের জামাতা শেখ ফরিদ তাঁর অনুসারীরা হাসিনা আক্তার নামের এক নারীর বাড়িতে হামলা করে। ওই নারী প্রতিবেশী হওয়ায় তোরাব আলী এ হামলার প্রতিবাদ করেন। এতে সংসদ সদস্যের জামাতা শেখ ফরিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এরপর মুজিব কলেজ মোড় সমাজভিত্তিক মসজিদে ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে এক ঘরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর সমাজের লোকজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলীর দোকান থেকে কোন মালামাল ক্রয় না করার জন্য সমাজ বাসীকে নির্দেশ দেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলী আরও জানান, এরপর থেকে সাত মাস ধরে আমাকে এক ঘরে করে রেখেছে। কোরবানির ঈদের দিন সামাজিক গোশত বিতরণ থেকেও আমাকে বঞ্চিত করা হয়। এমনকি শুক্রবারে মসজিদে মান্নতের শিরনিও আমাকে দেওয়া হয় না। তিনি দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা না পেলে তাকে না খেয়ে মরতে হতো।

তোরাব আলী আরও বলেন, গত ছয় মাস ধরে সখীপুর থানার ওসি, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান এমনকি এমপি মহোদয়ের কাছে গিয়েও এর বিচার পাইনি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর আমরণ অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের কয়েকজন সুশীল ব্যক্তি  বলেন, সভ্য সমাজে এ রকম কাজ হয়, তা ভাবতেই অবাক লাগছে। এক বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটির সঙ্গে যা করা হচ্ছে, তা খুবই অমানবিক।

পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী বাদল  বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলী পৌর আওয়ামী লীগের একজন সদস্য। তাকে এক ঘরে করে রাখা এটা একটা অমানবিক কাজ। তদন্ত করে দায়ীদের বিচার হওয়া উচিত।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলী আমার কাছেও এসেছিল। সংসদ সদস্যের জামাতার সঙ্গে বিরোধ থাকায় এটা মীমাংসা করার সাহস পাইনি।

সখীপুর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ বলেন, আমি কয়েকবার মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছি কিন্তু সর্বশেষ পারিনি।

সখীপুর মুজিব কলেজ মোড় মসজিদভিত্তিক সমাজের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্যের জামাতা শেখ ফরিদ আজ সোয়া তিনটায় বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলীকে একঘরে করে রাখার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনিই আমাদের সমাজের ৫০-৬০ জনের নামে মিথ্যা মামলা করেছেন। মামলার কারণে সামাজিক সিদ্ধান্তে মাস ছয়েক আগে সমাজের সদস্য থেকে তার নামটি শুধু কাটা হয়েছে। একঘরে করে রাখা হয়নি। আমরা আগামীকাল শনিবার মুক্তিযোদ্ধা তোরাব আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অনশন করায় সংবাদ সম্মেলন করব।  

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, মেয়র মহোদয়কে নিয়ে আজকালের মধ্যেই সামাজিকভাবে বসে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হবে।

কেএস

Link copied!