Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

‍‍‘আমার মায়ের লাশ পেয়েছি আমি‍‍’ মেয়ের স্ট্যাটাস

খুলনা প্রতিনিধি

খুলনা প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২, ১০:৪২ এএম


‍‍‘আমার মায়ের লাশ পেয়েছি আমি‍‍’ মেয়ের স্ট্যাটাস

খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে দীর্ঘ ২৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর মায়ের লাশ পেলেন মরিয়ম মান্নান। 

নিখোঁজ (মা) রহিমা বেগমের (৫২) লাশ উদ্ধার হয়েছে বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার মেয়ে মরিয়ম। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে তিনি এই স্ট্যাটাস দেন।

তবে খুলনার দৌলতপুর থানা পুলিশ, মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই এবং ময়মনসিংহ পুলিশ বলেছে, বিষয়টি তারা মোটেও নিশ্চিত নয়। 

মরিয়ম মান্নান বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‍‍`আমি আমার মায়ের লাশ পেয়েছি এই মাত্র। ‍‍`

পরে রাত ১২টার দিকে আরেক স্ট্যাটাসে মরিয়ম লিখেছেন, আর কারো কাছে আমি যাবো নাহ! কেউকে আর বলবো নাহ আমার মা কোথায়! কেউকে বলবো নাহ আমাকে একটু সহোযোগিতা করুন! কেউকে বলবো নাহ আমার মাকে একটু খুঁজে দিবেন! কেউকে আর বিরক্ত করবো নাহ! আমি আমার মা‍‍`কে পেয়ে গেছি!

এর আগে মায়ের নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে মরিয়ম বলেছিলেন, গত ২৭শে আগস্ট রাত থেকে আমার মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ঐ দিন রাত ১০টায় বা তার একটু পরে আমার মা বাসার নিচে পানির টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে মা ফিরে আসে না। এরপর মাকে খোঁজা শুরু করে সবাই। 

মায়ের পায়ের জুতা, গায়ের ওড়না, পানির পাত্র পড়ে ছিল কিন্তু সেখানে আমার মা ছিল না। আমরা ধারণা করছি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে আমার মাকে অপহরণ করা হতে পারে।

আমার মা রহিমা বেগম ও তার দ্বিতীয় স্বামী মো. বিল্লাল হাওলাদারকে নিয়ে তাদের খুলনার দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা খানাবাড়ি হোল্ডিং নং-৩৫ এর দ্বিতীয় তলায় বসবাস করতেন। আমরা ছয় ভাইবোন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি।

এবিষয়ে মোবাইল ফোনে তার ভাই মো. সাদী জানান, তার বোন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে এবং কান্নাকাটি করছে। তবে কখন, কোথা থেকে ও কীভাবে তার মায়ের লাশ উদ্ধার হয়েছে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তিনি বলেন, বিস্তারিত তার বোন জানে।

আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে তাকে না পেয়ে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। পরেরদিন ২৮ আগস্ট অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আদুরী খাতুন দৌলতপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৫।  

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, রহিমা খাতুন নিখোঁজের ঘটনায় তার স্বামী হেলাল হাওলাদারসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। 

তারা হলেন—খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া, রহিমা খাতুনের দ্বিতীয় স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ ও জুয়েল এবং হেলাল শরীফ। 

নিখোঁজ রহিমা বেগমের পরিবারের একটি সূত্র জানায়, এক বছর পূর্বে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে হামলার শিকার হন রহিমা বেগম এবং তার এক কন্যা।

টিএইচ

Link copied!