Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে বুড়িচং থানার এএসআই কারাগারে

বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

অক্টোবর ১, ২০২২, ০৮:১০ পিএম


নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে বুড়িচং থানার এএসআই কারাগারে

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগ এলাকা থেকে এক কলেজ ছাত্রীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সিএনজিতে উঠিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগে বুড়িচং থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ.এস.আই) মালেক ও তার সহযোগী সিএনজি চালক বিল্লালকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটায় উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের লড়িবাগ রাস্তার মাথায়।

এঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তাদেরকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

আটককৃত আসামিরা হলেন, কুমিল্লা বুড়িচং থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ.এস.আই) আব্দুল মালেক ও মো. বিল্লাল হোসেন (৪৪) বুড়িচং উপজেলার পীর যাত্রাপুর ইউপির কন্ঠনগর গ্রামের সুলতান আহম্মেদের ছেলে।

ভুক্তভোগী ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা বুড়িচং রাজাপুর ইউনিয়নের শংকুচাইলের লড়িবাগ এলাকার স্থানীয় একটি ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বাবা মুদি দোকানদার তার মা অসুস্থ থাকায় মার জন্য ওষুধ আনতে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় গাড়ি না থাকায় পায়ে হেটে লড়িবাগ রাস্তার মাথায় পৌঁছলে একটি সিএনজি অটোরিকশা এসে সামনে দাড়িয়ে সিএনজির ভিতরে থাকা লোকটি গাড়িতে উঠতে বলে। গাড়িতে থাকা লোকটি পুলিশের পোষাক পরিহিত থাকায় দ্বিধাহীন, কোন চিন্তা না করে সিএনজিতে উঠে। সিএনজিতে উঠার পর ঘটে ভিন্ন ঘটনা পুলিশ পরিচয় দেওয়া লোকটি তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এবং লজ্জাস্থানে স্পর্শ করে। পরে তার সাথে সম্পর্ক রাখলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আদায় করে দিবে বলে প্রলোভন দেখায়। তাকে তার কাপড়ের সাইজ কত অন্তর্বাসের সাইজ কত বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলে। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা বুড়িচং থানার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরির করে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করে শ্লীলতাহানি করে বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। এসময় সিএনজিতে থাকা পুলিশ পরিচয় দেয়া লোকটা ও সিএনজি চালক তাকে বলে দেয় যে সে যদি এবিষয়ে কাউকে কিছু বলে তার বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে হুমকি দেয়। এঘটনার পর ওই শিক্ষার্থী কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। তাকে তার পরিবার থেকে কলেজে না যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে এক পর্যায়ে তার পরিবারকে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে তার এলাকায় ও থানায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় সিএনজিতে থাকা লোকটি বুড়িচং থানার উপ-পরিদর্শক (এ.এস.আই) আব্দুল মালেক ও সিএনজি চালক মো. বিল্লাল হোসেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুমিল্লা বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারফুর রহমান জানান, এঘটনায় কলেজ ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে আমরা অভিযুক্ত থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ.এস.আই) মালেক ও তার সিএনজি চালক বিল্লালকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করেন।

এসএম

Link copied!