ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

বিলের মাঝে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে লাল শাপলা

বরিশাল ব্যুরো

বরিশাল ব্যুরো

অক্টোবর ৮, ২০২২, ০৬:৪৩ পিএম

বিলের মাঝে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে লাল শাপলা

দখিনের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছড়ানো লাল শাপলার বিলে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে প্রতিনিয়ত। ছুটির দিনসহ সপ্তাহের সাত দিনেই পাখিডাকা ভোর থেকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে বিস্তীর্ণ লাল শাপলার বিল এলাকা। পাশের সড়কে দাঁড়িয়েও যতদূর চোখ যাবে, সবুজের মাঝে রক্তিম আভা হাতছানি দিচ্ছে। বিলের কালচে পানিতে সবুজ পাতার ওপর মাথা উঁচু করে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে লাল শাপলা। এর মাঝেই দেখা মিলতে পারে সাদা আর বেগুনি রংয়ের শাপলা ফুলের। আবার তার মাঝেই সাদা বক, পানকৌড়ি, মাছরাঙ্গা, ফিঙে, শালিক, দোয়েল, চড়ই, কাঠঠোকরাসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় প্রজাতির পাখির কলকাকলিও তো আছেই। বরিশাল নগরী থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ও উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রাম। স্থানীয়ভাবে এ এলাকাটি শাপলা রাজ্য হিসাবে পরিচিত। গ্রামের নামেই বিলের নাম ‘সাতলা বিল’।

সরজমিনে দেখা গেছে, লাল-সবুজে বির্স্তীর্ণ এ সাতলা বিলটি দূর থেকেই চোখ পড়ে পর্যটকদের। কাছে গেলে ধীরে ধীরে সবুজের পটভূমিতে লালের অস্তিত্ব আরো গাঢ় হয়ে খো দেয় বাহারি সৌন্দর্য। সূর্যের আভাকেও যেন হার মানিয়েছে। সাতলা বিলের পানিতে লতা পাতা গুল্ম ভরা শত সহস্র লাল ও সাদা শাপলা। এ যেন প্রকৃতির বুকে আঁকা এক নকশিকাঁথা। প্রতি বছর বর্ষার শুরুতেই ফুটতে শুরু করে শাপলা ফুল। প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এখানে শাপলার মৌসুম। প্রায় ১০ হাজার একর জলা ভূমির মধ্যে জন্ম নেওয়া লাল, নীল ও সাদা রঙের কোটি কোটি শাপলা এক নজর দেখার জন্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নানা বয়সের হাজারো পর্যটকদের ভিড় থাকে। পর্যটকদের আনাগোনায় দিন দিন মুখরিত হয়ে উঠছে ‘শাপলার রাজ্য’ খ্যাত সাতলা বিল এলাকা। সাতলা বিলের লাল শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটক আসে বহু দূর-দূরান্ত থেকে। এ বিলে ভ্রমণের জন্য রয়েছে ছোট আকারের নৌকা। সূর্যের উদয়ক্ষণে সূর্যরশ্মি পড়া মাত্রই যেন মন পাগল করা এক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয় সাতলা বিল।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, শুধু সৌন্দর্যই নয়, সুস্বাদু খাবার হিসেবেও শাপলার বেশ কদর রয়েছে। ওই এলাকার গ্রামাঞ্চলের সহজ সরল মানুষগুলো বিলের পানিতে জীবন সংগ্রামের আয়ের পথ হিসাবে বেছে নিয়েছেন শাপলা তোলাকে। সকালে সূর্য উঠার সাথে সাথে ছোট ছোট নৌকা নিয়ে বিলে নেমে পড়ে শাপলা তোলার জন্য এ এলাকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। পানির মধ্য থেকে শাপলাগুলো তুলে এনে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে শত শত পরিবার। প্রায় ২০০ বছর ধরে সাতলার বিলগুলোতে শাপলা জন্ম হচ্ছে। ওই এলাকার প্রায় ৫০ ভাগ অদিবাসী শাপলা বিপণন কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। এক সময় শাপলার তেমন কোনো চাহিদা না থাকায় পানিতে জন্মে পানিতেই মরে পচে যেত। তবে দিনে দিনে শাপলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তা বাজারে বিক্রি করতে শুরু করে দিন মজুররা। এখন প্রায় সারা বছর ধরেই শাপলা পাওয়া যায়। বিশেষ করে এ অঞ্চলের মানুষ খাদ্যের তালিকায় শাপলাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। সাতলার বুকে জুড়ে শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে বর্তমানে ভিড় করছে পর্যটকরা।

সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা দর্শনার্থী নাঈম জানান, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে তারা এতদূর ছুটে এসেছেন। শাপলা বিলের সৌন্দর্য অবগাহনে তারা পুলকিত ও মুগ্ধ।

বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন হায়দার বলেন, সাতলার শাপলা বিল নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। এরমধ্যে সাতলাকে পর্যটন কেন্দ্র করার বিষয়ে পর্যটন করর্পোরেশনকে লিখিত ভাবে অভিহিত করা হয়েছে। অতিসত্ত্বর সেখানে খাবার পানি ও বাথরুমের ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ভাবে রেস্ট হাউস করার চেষ্টা চলছে। পর্যটকরা যেন ঘুরে বিশ্রাম নিতে পারেন এ বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে সেখানে সরকারি জমি না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। অচিরেই এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে ও সকলের প্রচেষ্টায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে।

এসএম

Link copied!