ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

বরিশালের বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা

বরিশাল ব্যুরো

বরিশাল ব্যুরো

ডিসেম্বর ১, ২০২২, ০৩:০১ পিএম

বরিশালের বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদী থেকে অবাধে জাটকা নিধন চলছে। ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়া জাটকায় সয়লাব জেলার হাটবাজারগুলো। অসময়ে ধরা পড়া এসব জাটকা বিক্রি হচ্ছে নামমাত্র মূল্যে। প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি করা হলেও নীরব ভূমিকায় রয়েছে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা। এমন বেপরোয়া জাটকা নিধনের ফলে ইলিশের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে জাটকা শিকার ও বিক্রি বন্ধে আরো জোরদার অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছেন জেলা মৎস্য অফিসার।

সূত্রমতে, ইলিশ সম্পদ রক্ষায় ১ নভেম্বর থেকে পরবর্তী ৮ মাস জাটকা ধরা, কেনাবেচা ও মজুত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সরকারি এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বরিশালের মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে জাটকা শিকারে মেতেছেন অসাধু জেলেরা। এসব জাটকা মজুত করা হচ্ছে নদীর পাড়ের মাছঘাটগুলোতে। বিশেষ করে বরিশাল নগরীর তালতলী, বেলতলা, জেলার চন্দ্রমোহন নদী পাড়ে হাঁকডাক দিয়ে প্রকাশ্যেই চলছে জাটকা বেচাকেনা। অসময়ে ধরা পড়া এসব জাটকা বিক্রি হচ্ছে নামমাত্র মূল্যে। প্রতি হালি জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৮০ টাকায়। এছাড়া কেজি বিক্রি হচ্ছে এক থেকে দেড়শ টাকা দরে।

বরিশালের প্রত্যেকটি হাটবাজারে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি হলেও নীরব ভূমিকায় রয়েছে প্রশাসন। মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রশাসনের নজরদারি শুধু কাগজে-কলমে থাকায় হতাশ সচেতন মানুষ। কেননা দুয়েকটি অভিযানে যে পরিমাণ জাটকা জব্দ করা হয় তার চেয়ে বেশি পাওয়া যায় বরিশালের হাটবাজারগুলোতে। 
আর জেলেদের দাবি, বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় বাধ্য হয়ে জাটকা ধরছেন তারা।

সরজমিনে  হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, জাটকায় সয়লাব বাজার। দামও হাতের নাগালে থাকায় প্রায় সব শ্রেণির মানুষই কিনছে জাটকা। এছাড়া পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে জাটকা ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়। খুচরা বিক্রেতা শায়েস্তাবাদ পানবাড়িয়া গ্রামের হাকিম দাবি করেন বরিশালের বৃহৎ মৎস্য ভান্ডার পোর্ট রোডে হাজার মণ জাটকা ইলিশ বিক্রি করা হয়। এ সময় তিনি জাটকা বিক্রিতে বরিশালের এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির জড়িত থাকার কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, নগরীর তালতলী বাজারে কালুসহ অন্তত ১০ জন মাছ ব্যবসায়ী প্রতিদিন হাজার মণ জাটকা ইলিশ বিক্রি করেন। অভিযোগ রয়েছে জাটকা বিক্রির একটি সিন্ডিকেট রয়েছে যারা জাটকা সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন উপজেলায় পাঠিয়ে থাকে। বড় মাছের বস্তায় নিচের দিকে কৌশলে জাটকা ভরে তা পাচার করা হয়।

নথুল্লাবাদের মাছ ব্যবসায়ী ফোরকান বলেন, আসলে এগুলো ছোট ইলিশ। এত ছোট ইলিশ কেউ নিতে চায় না। তাই চাপিলা নামে বিক্রি করছি। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।

হাতেম আলী চৌমাথা বাজারের মাছ বিক্রেতা কবির জানিয়েছেন, নদী থেকে এসব জাটকা জেলেরা ধরে এনে তা আড়তে বিক্রি করছেন, এরপর পাইকারি বাজার হয়ে খুচরা বাজারে আনা হচ্ছে। কিন্তু নদীতে এই মাছ ধরা বা শিকার করা থেকে জেলেদের যদি বিরত রাখা যেত, তাহলে এই ইলিশ সম্পদ ধ্বংস হতো না।

বরিশালের পোর্ট রোড আড়তের মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য মাছের চেয়ে জাটকা বিক্রি একটু লাভজনক। মাছ ধরার ট্রলারগুলো কারেন্ট জাল ব্যবহার করে জাটকা ধরছে। এতে ভবিষ্যতে নদীগুলোতে বড় আকারের ইলিশের অভাব দেখা দেবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে বরিশালের মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে জাটকা শিকার নিরুৎসাহিত করতে জেলেদের মাঝে বিভিন্ন সহায়তামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, জনগণকে সচেতন করা এবং কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ বেহুন্দি জাল ও প্রচুর জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। তবে জনগণ সচেতন না হলে জাটকা নিধন বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।

কেএস 

Link copied!