ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

৩২ বছর পর হত্যা মামলায় ৬ আসামির যাবজ্জীবন

সফিউল আলম, কক্সবাজার

সফিউল আলম, কক্সবাজার

ডিসেম্বর ১, ২০২২, ০৫:৪৪ পিএম

৩২ বছর পর হত্যা মামলায় ৬ আসামির যাবজ্জীবন

কক্সবাজারের মহেশখালীতে সাড়ে ৩২ বছর পর আলোচিত খাইরুল আমিন হত্যা মামলায় সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার আজমসহ ছয় আসামির যাবজ্জীবন সাজা এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় চার্জশীটভূক্ত ২০ আসামিকে বেখসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত এ আদেশ দেন বলে জানান কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হল, মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, তার
ভাই বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভি জহির উদ্দিন ও নাসির উদ্দিন, ছোট মহেশখালীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলম, আইনজীবী হামিদুল হক ও সাধন দাশ।

রায় ঘোষণার সময় সাধন দাশ ছাড়া মামলার অপর ৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

নিহত খাইরুল আমিন (২৮) মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা এলাকার প্রয়াত হামজা মিয়া সিকদারের ছেলে। তিনি তৎকালীন জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন।

মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণের বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির বিরোধের জেরে খাইরুল আমিন হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। আদালতে মামলার চার্জশীটভূক্ত ২৬ আসামির মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক যাবজ্জীবন সাজা এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার কারাগার থেকে মামলার ৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়। পরে সকাল ১১ টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে রায় পড়া শুরু করেন।

"দুপুর ২ টায় বিচারক ৬ জনের যাবজ্জীবন এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়ে মামলার রায় ঘোষণা করেন। এসময় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক মামলার চার্জশীটভূক্ত ২০ আসামিকে বেখসুর খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাধন দাশ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।"

মামলার নথির বরাতে ফরিদুল বলেন, ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার দিকে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন হন তৎকালীন জেলা পরিষদ সদস্য খাইরুল আমিন সিকদার (২৮)।

ওই দিন নিহত খাইরুল আমিনের বড় ভাই মাহমুদুল করিম সিকদার বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুর বক্স, পুটিবিলার  বাসিন্দা ও মহেশখালী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান সরওয়ার আজম, শামশুল আলম, নাসির উদ্দিন ও হামিদুল হকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনার তদন্ত করে এজাহারভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন ওই বছরের ২২ নভেম্বর। ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

মামলার যুক্তিতর্ক আদালতে উপস্থাপন হয়েছিল ২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর। যুক্তিতর্ক শেষে চলতি ২০২২ সালের ২৬ মে আদালত রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের জন্য বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন। ধার্য দিনে আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন মামলার ১৭ জন আসামি।

এর মধ্যে মহেশখালী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান সরওয়ার আজম, তার আরও দুই ভাই মৌলভি জহির উদ্দিন ও নাসির উদ্দিনসহ পাঁচজন আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। মামলার মোট আসামি ২৬ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৭ জন আসামি। পলাতক ছিলেন দুই জন।

কেএস 

Link copied!