ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ইচ্ছেমতো অফিস করেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০৪:০৮ পিএম

ইচ্ছেমতো অফিস করেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার

নীলফামারীর জলঢাকায় সরকার নির্ধারিত সময়ে অফিস না করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে। গত দুই সপ্তাহের অনুসন্ধানে এমনই তথ্যের প্রমাণ মিলেছে।

অপরদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইচ্ছেমতো অফিসে আসায় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারও নিজেদের খেয়ালখুশি মতই অফিসে আসছেন। এতে ভেঙে পড়ছে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ি সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অফিস করার নিয়ম থাকলেও প্রতিদিন নিজ বাসা রংপুর থেকে অফিসে আসার কারণে দুই ঘণ্টা পর কর্মস্থলে উপস্থিত হচ্ছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর রংপুর থেকে জলঢাকাগামী (বগুড়া-জ ১১-০১৪০) একটি বাসে সকাল ১১টা ৬ মিনিটে জলঢাকা বাসটার্মিনালে নেমে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি রিকশায় উঠেন উপজেলা প্রাদথমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মাদ। ২২ ডিসেম্বর সকাল ১০ টা ৫৪ মিনিটে একটি (রংপুর-জ-০৪-০০৩৭) বাসে জলঢাকা বাসটার্মিনালে প্রবেশ করেন তিনি। ২৬ ডিসেম্বর সকাল ১১ টা ৮ মিনিটে (কুমিল্লা-জ-১১-০০৩২) একটি বাসে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মাদ ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমানসহ জলঢাকা বাসটার্মিনালে নেমে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রিকশায় উঠেন। সর্বশেষ ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে জলঢাকা বাসটার্মিনালে নেমে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, নিজ নিজ বাসা থেকে অফিস করছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দায়িত্বরত অধিকাংশ অফিসাররা। প্রতিদিন বাসা থেকে আসায় দেরিতে অফিসে পৌঁছাচ্ছেন তারা। 
অপরদিকে উপজেলার ২৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তদারকির দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসাররা দেরিতে অফিসে আসায় এবং সঠিক সময়মত স্কুলগুলো পরিদর্শন করতে না পারায় ‘খেয়ালখুশি মতো’ স্কুল করছেন অনেক শিক্ষক।

গত ১৫ নভেম্বর উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের উত্তর ভাবনচুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ১০টা ৮ মিনিট পর্যন্ত স্কুলে ঝুলছে তালা। ১০টা ২৮ মিনিটের পর ওই স্কুলে কর্মরত শিক্ষকরা স্কুলে আসতে শুরু করেন।

একই দিন ভাবনচুর মরাতিস্তা (সাইফন) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ১০টা ১৮ মিনিট অতিবাহিত হলেও স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ঝুলছে তালা। ২ মিনিট পর স্কুল খুলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল।

২০ নভেম্বর চরহলদিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৯টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত স্কুলের শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলছে। এ সময় স্কুল খোলার অপেক্ষায় ওই স্কুলের ৪ জন শিক্ষার্থীকে স্কুলের বারান্দায় অপেক্ষারত অবস্থায় দেখা যায়।

২৭ নভেম্বর ভাবনচুর কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৯টা ৩২ মিনিটে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুর রহমান একাই স্কুল খুললেও ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা আসেন ১০টার পর। 
সর্বশেষ ১৯ ডিসেম্বর বালাগ্রাম কালীরডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত তালা ঝুলানো স্কুলে কোন শিক্ষক আসেননি। শিক্ষকদের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে বাড়ি ফিরে যান ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী। দেরিতে স্কুল খোলার বিষয়ে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হলেও শিক্ষকদের কারন দর্শনোর একটি নোটিশ দিয়েই দায়সাড়েন সংশ্লিষ্টরা।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মাদ বলেন, ‘দেরিতে অফিসে আসার বিষয়টি আপনি দেখার কে? আমি নিয়ম মোতাবেক অফিস করি।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘অফিসে দেরিতে আসার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবগত করা হবে।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, ‘তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অভিভাবক হয়ে নিজে দেরিতে আসলে বাকি অফিসার তো দেরি করে অফিস আসবেই, এটা মেনে নেওয়ার মতো নয়, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’

কেএস

Link copied!