ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

অব্যাবস্থাপনায় বরিশাল মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো

আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো

ডিসেম্বর ২৯, ২০২২, ০১:৩৩ পিএম

অব্যাবস্থাপনায় বরিশাল মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র
  • অকেজো সরকারি দুইটি বিলবোর্ড
  • ২টি এ্যাম্বুলেন্সের ১ টি বিকল
  • সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা
  • নিরাপত্তা নিয়ে সঙ্কা

নানা অনিয়ম আর অব্যাবস্থাপনার ফলে মুখ থুবরে পড়েছে বরিশাল নগরীর কালিবাড়ী রোডে অবস্থিত মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের সেবা। অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিজেদের খেয়াল খুশি মতো দায়িত্ব পালন। অপরদিকে নানা অজুহাত দেখিয়ে নিজেদের দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাওয়ার ফলে সেখান থেকে মুখ ফিরিযে নিচ্ছে নগরীর সাধারন মানুষ। যার কারণে সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

গত বেশ কয়েকদিনের সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, একই বাউন্ডারির মধ্যে দুটো সরকারি প্রতিষ্ঠান অথ্যাৎ “মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্র" এবং "আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট (আর.পি.টি.আই)”। বাউন্ডারির মধ্যে ডুকেই লক্ষ করা যায়, মূল গেটের পাশেই যে সিকিউরিটি রুমটিতে কোন সিকিউরিটি নেই। তার পাশের গাড়ি রাখার গ্যারেজটিও নড়বরে তালাবদ্ব রয়েছে। তবে আর,পি,টি, আই কর্তৃপক্ষ বলছেন সিকিউরিটির ওই কক্ষ ও গ্যারেজটি এখন পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। এদিকে মা ও শিশু কল্যান কল্যান কেন্দ্রের সামনের প্রচারনা জন্য ব্যাবহারিত বিদুৎতের একটি বিলবোর্ডটিতে রাতে ঝলছে না আলো।

জানা গেছে, এটি প্রায় বছর খানেক যাবৎ নষ্ট রয়েছে। মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রের কর্মকর্তা ডা: রাজিয়া বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, গত প্রায় ৬/৭ মাস যাবৎ এটা নষ্ট রয়েছে। আমরা কয়েকবার অধিদপ্তরকে জানিয়েছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এদিকে বিদুৎতের বিলবোর্ডের পাশে কয়েক লাখ টাকা ব্যয়ে লোহার তৈরি আরো দুইটি বড় বিলবোর্ড থাকলেও তাও কোন কাজে আসছে না। শুধু ফাঁকা দাঁড়িয়ে আছে সরকারি অর্থে নির্মিত এই বিলবোর্ড দুটি। এদিকে মা ও শিশু কল্যান কেন্দ্রে আসা রোগীদের সরকারি এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। অভিযোগের সত্যতাও মিলছে অনুসন্ধানে। কেন্দ্রের পিছনে গিয়ে দেখা যায়, একটি লক্করজক্কর এ্যাম্বুলেন্স (বরিশাল-ছ ৭১-০০০৯) ঠায় দাড়িয়ে আছে। দেখলে মনে হবে ঠিক কবে এটা চলেছে তার কোন ঠিক নেই।

আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনষ্টিউট‍‍`য়ের অধ্যক্ষ মো: শওকত আলী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি এখানে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেছে কয়েকমাস হলো। শুরু থেকে এই এ্যাম্বুলেন্সটা এখানেই পড়ে থাকতে দেখছি। এটা এখানে থাকায় দেখতেও কিছুটা দৃস্টি কটু মনে হচ্ছে। আমি কয়েকবার এটাকে এখান থেকে সরানোর অনুরোধ করলে কেউ আমার কথায় কর্ণপাত করেনি।

বিষয়টি নিয়ে ডা: রাজিয়া পারভিন বলেন, আমাদের এখানে দুটি এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। যার একটি এখন নষ্ট অবস্থায়। আমরা বিষয়টা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। কিন্তু কি কারণে নষ্ট এ্যাম্বুলেন্সটিকে অধ্যক্ষ সরাতে অনুরোধ করার পরেও সরাচ্ছেন না? এমন প্রশ্নের উত্তর মোবাইলে দিতে চাননি তিনি।

এদিকে আর.পি.টি.আই এর অধ্যক্ষ বলেন, এখানে প্রায় সময় বহিরাগত আর উঠতি বয়সী কিছু বখাটেদের আড্ডা থাকে। তবে একই বাউন্ডারিতে দুটি প্রতিষ্ঠান থাকায় আমরা মূল গেটটি বন্ধ রাখতে পারিনা। কারন যেহেতু এখানে প্রসূতি রোগীর চিকিৎসা কেন্দ্র। আমি যদি মূল গেটটি বন্ধ রাখি তাহলে আবার রোগীর সমস্যা হবে।

কেএস

Link copied!