Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

যমুনার দ্বীপচর সাপধরী মডেল ইউনিয়নে উন্নয়নমূলক কাজ শুরু

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ৪, ২০২৩, ১১:২১ এএম


যমুনার দ্বীপচর সাপধরী মডেল ইউনিয়নে উন্নয়নমূলক কাজ শুরু

জামালপুরের ইসলামপুর সাপধরী ইউনিয়নের ১৯৮০দশকের পরবর্তী যমুনা নদীর করাল গ্রাসে সিংহভাগ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সেখানে আবার নতুন করে চর জেগে উঠায় নদীভাঙ্গা বন্যাকবলিত হাজারও মানুষ পুনরায় বসতি গড়ে তোলে বসবাস শুরু করে। কিন্তু সেখানে দীর্ঘদিন বসবাস শুরু করলেও তাদের যাতায়াতের জন্য কোন রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। ফলে ওইসব এলাকার মুমুর্ষ রোগী, শিশু ও বয়বৃদ্ধ, শিক্ষার্থীদের যাতায়াতসহ
কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয় জন্য যাতায়াতে কোন রাস্তা না থাকায় চরম দুর্ভোগ
পোহাতে হয়েছে তাদের।

বর্তমান সরকার জেলার ইসলামপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে সাপধরী ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন হিসাবে ঘোষণা করে। সম্প্রতি হাজারও ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের যাতায়াতের দুঃখ কষ্ট দুর্ভোগ লাঘবের জন্য বর্তমান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল, এমপি রাস্তা নির্মানের উদ্যোগে গ্রহণ করেন।

বর্তমানে সাপধরী ইউনিয়নের দিঘাইর থেকে ইন্দুল্লামরী হয়ে ভাংবাড়ী কোদাল ধোয়া গ্রামের বকুল খানের বাড়ী পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার নতুন একটি রাস্তা মাটি কেটে ৫টি বক্স কালভার্ট নির্মানের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ দরপত্র আহব্বান করে। কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ২ কোটি ৫৬লাখ ৯৫৬ টাকা। কাজটি বাস্তবায়ন করছে মের্সাস দূর্গা এন্টারপ্রাইজ।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কাজটি বাস্তবায়নে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় এমপি বর্তমান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালসহ দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগকে স্বাগতম জানিয়েছেন ইউনিয়নবাসী।
সাপধরি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম মন্ডল, ইউপি সদস্য মেহের আলী,ফেকু
প্রমানিক,ভাংবাড়ী গ্রামের বকুল মিয়া,সোনা আকন্দ,কোদাল ধোয়া গ্রামের
আবুল কাশেম মাস্টার, সৈয়দ মন্ডল,কাশারী ডোবা বাসিন্দা আজিজুর রহমান
চৌধুরী জানান, গত ২৫ বছর ধরে বসত ভিটা স্থাপিত হলেও রাস্তরর অভাবে দুই পায়ে
কাঁদামটি ও বালির উপর হাঁটে চলাচল ছাড়া কোন পথ ছিল না।

রাস্তার অভাবে এলাকার মুমুর্ষ রোগি, শিশু ও বয়বৃদ্ধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের
যাতায়াতসহ কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তাই জমির
মালিকগণ রাস্তাটি নির্মাণ করার জন্য স্বেচ্ছায় জমি ছেড়ে দিয়েছেন। তাদের
দাবী দ্রুত রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে এলাকাবাসির চরম দুর্ভোগ থেকে রক্ষা
পাবে এবং এলাকাবাসী তাদের কৃষি পণ্য বিক্রি করে ফসলের ন্যায্য মূল্য পাবে ।

এবি

Link copied!