ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

৩১৭ কোটি টাকার শিল্প নগরীর ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ স্টেশন উদ্ভোধনে রয়েছে সংশয়

আবু হানিফ রানা, মুন্সীগঞ্জ

আবু হানিফ রানা, মুন্সীগঞ্জ

জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৩:১৪ পিএম

৩১৭ কোটি টাকার শিল্প নগরীর ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ স্টেশন উদ্ভোধনে রয়েছে সংশয়

শতভাগ প্রস্তুতের দাবি করা হলেও মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে ইলেক্ট্রনিক শিল্প নগরীর এখনো অর্ধেক প্লট বিক্রিই শেষ হয়নি। গড়েও উঠেনি কোনো বৈদ্যুতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান। আবার সেখানে বিদ্যুত সংযোগের কাজও সম্পন্ন করতে পারেনি পল্লী বিদ্যুত কর্তপক্ষ।

শুধুমাত্র বিদ্যুতের খুঁটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতে শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণে সেখানে কোনো কর্মযজ্ঞ দেখা যাচ্ছে না জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ইছামতি নদীর তীরে এ শিল্প নগরীতে। কাজেই বিশেয়ায়িত এ শিল্প নগরী কবে নাগাদ চালু হচ্ছে-তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।

রাজধানীতে ছড়িয়ে থাকা বৈদ্যুতিক পন্য ও হাল্কা প্রকৌশল শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থানান্তরের লক্ষ্যে ইলেক্ট্রনিক শিল্প নগরী গড়ে তোলার পরিকল্ননা করে সরকার। সেই মোতাবেক রাজধানীর অদুরে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেতকা গ্রামের ইছামতির তীরে ৫০ একর জায়গার উপর ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সেখানে ইলেক্ট্রনিক শিল্প নগরী গড়ে তোলা কাজ শুরু হয়। বালু ভরাটের মধ্য দিয়ে প্লট তৈরীর কাজ শেষ হয় গেছে গত  বছরের জুনে।

বিসিকের তথ্য মতে, এ শিল্প নগরীতে অন্তত ১০ হাজার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এ শিল্প নগরী গড়ে তোলায় ব্যয় হয়েছে ৩১৭ কোটি টাকা।

এদিকে, দুই দফা মূল্য কমিয়ে এ শিল্প নগরীতে প্লট বিক্রিতে প্রতি শতাংশের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। সেখানে ৩৬১টি প্লট তৈরী করা হয়েছে। একেকটি প্লট যথাক্রমে ৭, ১০ ও ১৪ শতাংশ করে। কিন্তু হাতেগোনা কিছু প্লটের জন্য আবেদন ছাড়া অবিক্রিত থেকে গেছে শিল্প নগরীর সব প্লটই। এছাড়া সেখানে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ স্টেশন নির্মাণ করা হলেও এখনও বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হয়নি। খুঁটি দাঁড়িয়ে থাকলে- বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন টানার কাজ রয়েছে অসমপুন্ন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ইলেক্ট্রনিক শিল্প নগরীর কোনো প্লটেই নেই বৈদ্যুতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণের লেষমাত্র। পদ্মা সেতু হয়ে সহজ সড়ক যোগাযোগ ছাড়াও এ শিল্প নগরী থেকে সড়ক পথে ঢাকার দুরত্ব খুবই কম। টঙ্গীবাড়ি উপজেলা বেতকার ওই শিল্প নগরী থেকে সড়ক পথে জেলার সিরাজদীখানের বালুচর হয়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াতের সর্বসাকুল্যে সময় লাগবে আধঘন্টার মতো। তবু রাজধানীর নবাবপুর ও ধোলাইখালে ছড়িয়ে ছিটকে থাকা বৈদ্যুতিক পন্য ও হাল্কা প্রকৌশল শিল্প প্রতিষ্ঠান সরিয়ে আনার প্রচেষ্টা যেনো এখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে।

ইলেক্ট্রনিক শিল্প নগরী শতভাগ প্রস্তুত বলে দাবী করেছেন প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুল জলিল তালুকদার আমার সংবাদকে বলেন, প্রকল্পের শতভাগ কাজ শেষ পর্যায়ে। এ শিল্প নগরীতে বৈদ্যুতিক সব ধরনের পন্য ও গাড়ীর যন্ত্রাংশ তৈরীর শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। বিদ্যুত সংযোগ প্রসঙ্গে বলেন, বৈদ্যুতিক খুঁটি দাঁড় করানো হয়ে গেছে। আশা রাখছি সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বিদ্যুত সংযোগের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ মুক্তারপুরস্থ বিসিকের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আমার সংবাদকে বলেন, এ শিল্প নগরীতে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক পন্য সামগ্রী তৈরী করা হবে। ইতোমধ্যে ১৬-১৭ টি শিল্প প্রতিষ্ঠান প্লট বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছে। আশা করি বাকী প্লট বরাদ্দেও আমরা আবেদন পেয়ে যাবো।

মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের (কারিগরি) প্রকৌশলী মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শিল্প নগরীতে বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন টানাসহ সকল কাজ শেষ হয়ে যাবে আশা করি।

কেএস 

Link copied!