ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোডে চলাচলে দিতে হবে টোল

বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

জানুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০৫:১৭ পিএম

ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোডে চলাচলে দিতে হবে টোল

চট্টগ্রাম ঢাকা সংযোগ সড়কের ফৌজদারহাট ও বায়েজিদ লিংক রোডকে অবশেষে টোলের আওতায় আনা হচ্ছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে হস্তান্তর না করে নিজেরাই রক্ষণাবেক্ষণ করবে। আর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, লাইটিংয়ের খরচ এবং পাহাড় ব্যবস্থাপনার খরচ মেটাতে রাস্তাটিকে টোলের আওতায় আনা হচ্ছে।

রাস্তাটিতে বেড়াতে গেলে কোনো টোল পরিশোধ করতে হবে না। যারা রাস্তাটি পার হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাতায়াত করবেন তাদেরকে নির্দিষ্ট হারে টোল পরিশোধ করতে হবে। টোলের হার এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি বলে জানান সিডিএ। যাতে মানুষের সহনীয় থাকে সেদিকে খেয়াল রেখে টোলের হার নির্ধারণ করা হবে। 

মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে টোল আদায়ের ব্যাপারটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও সিডিএ নিশ্চিত করেছে।নগরীর বায়েজিদ রোড থেকে ফৌজদারহাটে ঢাকা চট্টগ্রামের সাথে যুক্ত করে এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। এই রিং রোডটি নির্মাণের সময় সিডিএ ১৬টি পাহাড় কেটেছিল।

প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড়টি ভেঙে সড়কের উপর পড়ে, এটি মেরামত করতে বেশ মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হয়। রাস্তাটিতে বৈদ্যুতিক বাতি লাগানোসহ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ যুক্ত হয়েছে। এসব খরচ যোগানোর মতো অর্থ সিডিএ নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করবে না। 

আবার মন্ত্রণালয়ও এই বাড়তি খরচের টাকার যোগান দেবে না। রাস্তাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে সিডিএ রাস্তাটি সিটি কর্পোরেশনকেও হস্তান্তর করছে না। এতে করে রাস্তাটি রক্ষণাবেক্ষণসহ সার্বিক খরচের যোগান দিতে সিডিএ টোল আদায়ের প্রস্তাব করলে মন্ত্রণালয় থেকে সেটি অনুমোদন করা হয়। এখন সিডিএ কত টাকা করে টোল নেবে তা নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। ওই সময় প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৭২  কোটি টাকা ধরা হয়। খরচ বেড়ে এতে প্রকল্পের ব্যয় ৩২০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। পরে আবারো প্রকল্প সংশোধন করে প্রায় ৩৩ কোটি টাকার খরচ বেড়ে যায়। এতে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়ায় ৩৫৩ কোটি টাকায়। 

কিন্তু বাড়তি ৩৩ কোটি টাকা সরকারের কাছ থেকে না পেয়ে টোল আদায়ের মাধ্যমে উক্ত টাকার সংগ্রহ করতে যাচ্ছে সিডিএ। এরসাথে রাস্তাটির দুইপাশে ইতোপূর্বে কাটা পাহাড় স্থিতিশীল রাখা, রাতের বেলায় রাস্তা আলোকিত রাখাসহ রক্ষণাবেক্ষণ খরচ টোলের মাধ্যমে মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে সিডিএ কতৃপক্ষ। সূত্র জানায়, আগামী মাসে দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে,তবে টোলের হার সিডিএ নির্ধারণ করে দেবে।

সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, টোল আদায় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে তা সাধারণ মানুষের জন্য সহনীয় রাখা হবে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র শহর থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম রোড ধরে যাতায়াতকারী যাত্রীদেরকেই টোল দিতে হবে। টোল প্লাজা নির্মিত হবে ফৌজদারহাটে। শহর থেকে রাস্তাটিতে ঘুরতে যাওয়া কিংবা স্থানীয় বাসিন্দাদের যারা এই রাস্তা ধরে ফৌজদারহাট ক্রস করে যাতায়াত করবেন না তাদেরকে কোনো টোল প্রদান করতে হবে না।

টিএইচ

Link copied!