ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ফরিদপুরে হত্যাচেষ্টা মামলায় ২ আসামির ৭ বছর জেল

ফরিদপুর প্রতিনিধি 

ফরিদপুর প্রতিনিধি 

ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩, ০৩:৪২ পিএম

ফরিদপুরে হত্যাচেষ্টা মামলায় ২ আসামির ৭ বছর জেল

ফরিদপুরে হত্যাচেষ্টা মামলায় চান্দু শেখ নামের এক আসামিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া একই মামলায় মনির শেখ নামের আরো এক ব্যক্তিকে ২ বছর ও বাকি ৫ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন, সাইফুল শেখ (২০), সাইদুল শেখ (২৫), বক্কার শেখ (৫৫), কালাম শেখ (৫০) ও রাকিবুল শেখ (২০)।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ফরিদপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুন বাছাড়ের আদালত দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে এ রায় ঘোষনা করেন। 

আদালতে বাদির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক হোসেন বশির। আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর উমা রানী দাস।

রায়ের পরে বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোসাদ্দেক হোসেন বশির এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসলে ৩২৬ ধারার মামলায় দীর্ঘ সাজা হয় এমন নজির খুব কম। অপরাধীদের সাজা না হলে তারা আরো বেপরোয়া হয়। তাই এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হত্যার উদ্যেশ্যে কাউকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করলে যে ছাড় পাওয়া যাবে না, এই রায়ে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। এ রায়ের ফলে মানুষ তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ ও মারামারি থেকে বিরত থাকবে। এবং এটা একটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।

রায়ের পরে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি উমা রানী দাস বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। অপরাধী যেন ছাড় না পান এটাই রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশ্যে। আর এ রায় সমাজের জন্য একটা বার্তা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, নগরকান্দার আশফরদী গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ চান্দু শেখের নেতৃত্বে মনির শেখ ও আরো কয়েকজন মিলে বাদি ছালাম শরিফের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় বাড়িঘর ভাংচুর চালালে এতে বাধা দেন মামলার বাদি ছালাম শরিফ ও তার ভাই বাবলু শরিফ। 

পরে চান্দু শেখ রামদা দিয়ে বাবলু শরিফের মাথায় কোপ দিলে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেইসাথে মনির শেখ ছেনদা দিয়ে সোহাগ শরিফের মাথায় আঘাত করে। এতে গুরুতর জখমের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও ভুক্তোভোগি পরিবারের একাধিক সদস্য লাঠিশোঠা দিয়ে উপর্যুপুরি মারধর করা হয়। 

পরে গুরুতর আহত বাবলু শরিফ ও সোহাগ শরিফকে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে উভয়ের মাথায় ১১ টা সেলায় দিতে হয়। এবং দীর্ঘদিন হাসপাতালের বিছানায় পড়ে থাকতে হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে দীর্ঘ তদন্ত শেষে নগরকান্দা পুলিশ আসামীদের দোষী করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। ২০২১ সালে আদালত চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন। পরে দীর্ঘ সাক্ষ্য শেষে ৭ তারিখ আদালত রায় ঘোষণা করেন।

আরএস

Link copied!