ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

লামায় পাহাড় জুঁড়ে সূর্যের হাঁসিতে মূখর সূর্যমূখী ফুল

বিপ্লব দাশ

বিপ্লব দাশ

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০২:৪৭ পিএম

লামায় পাহাড় জুঁড়ে সূর্যের হাঁসিতে মূখর সূর্যমূখী ফুল

বান্দরবানের লামা উপজেলাস্থ গজালিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে গতিরাম পাড়ায় বানিজ্যিক ভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন কৃষক প্রিতমা ত্রিপুরা।পাহাড়ে এ যেন সূর্যমুখী ফুলের রাজ্য। যতদূর চোখ যায়;হলুদ রঙের ঝলকানি দেখা যায়। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। সূর্যমুখী যেন সূর্যের সাথে হাসে সূর্যমুখী ফুল শুধু দেখতে রূপময় নয়,গুণে ও অনন্য।

লামা উপজেলার গজালিয়া গতিরাম ত্রিপুরা পাড়ার এ সূর্যমুখী বাগান। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । লামা উপজেলা সদর থেকে সুয়ালক সড়কের ৮ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এ ফুলের বিশাল মাঠ।

বর্তমানে প্রতিদিন সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক দর্শনার্থী ভিড় করছেন এখানে। বসন্তের হাওয়া বইছে চারপাশে। সূর্যমুখী সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে। সকাল বেলা পূর্বদিকে তাকিয়ে থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের সাথে ঘুরতে থাকে ফুলগুলো।

বাগান মালিক প্রিতমা ত্রিপুরা বলেন, এই বছর আমি লামা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে প্রণোদনা নিয়ে ৩৩ শতক (১ বিঘা) জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করি। কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। নিয়মিত কৃষি কর্মকর্তারা পরিদর্শন ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করেন, আগত দর্শনার্থীরা সূর্যমুখী গাছ ভেঙে ফেলেন। তাই দর্শনার্থীদের কাছে অনুরোধ,তারা যেন গাছ ও ফুলের ক্ষতি না করেন।

দর্শনার্থী ফরিদ উদ্দিন বলেন,‘আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি। এখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য ও ফুল আমার খুব ভালো লেগেছে। যিনি বাগানটি চাষাবাদ করেছেন, তাকে অনেক ধন্যবাদ। যেন ভবিষ্যতে আরও মানুষকে সৌন্দর্যে ভরপুর বাগানটি উপভোগ করার সুযোগ দেন।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, ছয় থেকে সাত ফুট লম্বা সুর্যমুখী গাছে ফুল ফুটে আছে। ফুলের সৌন্দর্য ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে। সুর্যমুখী ফুল দেখতে প্রতিদিনই আসছে বিভিন্ন বয়সী মানুষ।সূর্যমুখী চাষে খুব বেশি পরিশ্রম হয় না। শুধু বীজ বপণে একটু শ্রম দিতে হয়।

লামা উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোপন চৌধুরী বলেন, এই বছর লামায় প্রথম বারের মত সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৪০ জন কৃষক ৩৩ শতক করে মোট ১৩ একর ২০ শতক জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। সবাইকে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। ১ হেক্টর জমিতে ২টন বীজ উৎপন্ন হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার বর্মন বলেন, গত ডিসেম্বরের শুরুতে ক্ষেতে সূর্যমুখীর বীজ বপন করা হয়েছিল। ফসল ঘরে তোলা যাবে এপ্রিলে। চাষীদের চাষ করতে বিশেষ সমস্যা বা তেমন বেশি খরচ নেই।

সূর্যমুখী ফুলের বানিজ্যিক চাষ করে ব্যাপক আবাদের মাধ্যমে একদিন দেশের ভোজ্য তেলের ঘাটতি মেটাবে।

আরএস

Link copied!