Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪,

১০ লাখের বিপরীতে আছে ২১ লাখ টন

স্বাধীনতার পর দেশে সর্বোচ্চ খাদ্যশস্য মজুত আছে: খাদ্যমন্ত্রী

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁ প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০২:৪৫ পিএম


স্বাধীনতার পর দেশে সর্বোচ্চ খাদ্যশস্য মজুত আছে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম দেশে সর্বোচ্চ খাদ্যশস্য মজুদ আছে। সরকারিভাবে দেশে ১০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত থাকলে যথেষ্ট। তার বিপরীতে দেশে বর্তমানে ২১ লাখ মেট্রিক টনের অধিক খাদ্যশস্য মজুত আছে যা স্বাধীনতার পরে সর্বোচ্চ।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় নওগাঁ পৌর শহরের আটাপট্টি ও রুবির মোড়ে দুটি ওএমএস দোকান পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নিম্নআয়ের মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার সারাবছর খাদ্যবান্ধব ওএমএস কর্মসূচি চালু রেখেছে। জনগণের চাহিদা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম চালু থাকবে। আগামী ১ মার্চ থেকে সরারদেশের ৫০ লাখ পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। ৭ মার্চের মধ্যে বিতরণ শেষ হবে। একই সঙ্গে ওএমএস কার্যক্রমও চলতে থাকবে।

এছাড়া আসন্ন রমজানে দেশে এক কোটির উপর মানুষকে ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল দিবে সরকার। দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে জেলা উপজেলা পর্যায়ের নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের চাহিদা পূরণ করতে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। যার তালিকার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, উপকারভোগীরা ঠিকমত সেবা পাচ্ছেন কিনা, ডিলাররা স্মাগলিংগ করেন কিনা, সঠিক দাম নিচ্ছেন কিনা বা ওজনে কারচুপি করছেন কিনা এই বিষয়গুলো খাদ্য মন্ত্রনালয় সবসময় তদারকি করছে এবং করবে।

কোনো ডিলার অনিয়ম করে ওজনে কম, দাম বেশি নেওয়া এবং পচা ও নষ্ট আটা-চাল বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কতিপয় ব্যক্তি ওএমএস নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন যে ডিলাররা পচা চাল বিক্রি করছেন এমনকি গরুও সেই চাল খাবে না। তবে তারাই আবার সেই চাল কিনছেন।

যে চাল মানুষ খেতে পারবে না সেই চাল স্মাগলিং হয় কীভাবে। তারা অপপ্রচার চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছেন। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। অতি মুনাফার লোভে খাদ্যদ্রব্য মজুত করে মানুষকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করবেন না। নতুন আইন হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এ সময় রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক হোসেন পাটওয়ারি, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এআরএস

 

Link copied!