Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪,

যশোরে চোর চক্রের ২ সদস্য আটক

যশোর প্রতিনিধি

যশোর প্রতিনিধি

এপ্রিল ১৮, ২০২৩, ০৫:২৩ পিএম


যশোরে চোর চক্রের ২ সদস্য আটক

যশোরে চেতনা নাশক খাবার খাইয়ে অজ্ঞান করে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল ছিনতাই চক্রের অন্যতম হোতাসহ দুই সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। 

মঙ্গলবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন।

আটককৃতরা হলো যশোর শহরের বারান্দীপাড়ার বাসিন্দা ও ঝিকরগাছা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মৃত রফিজ মোল্লার ছেলে আলী রেজা রাজু ও মাগুরা জেলার মুহাম্মদপুর উপজেলার ইব্রাহিম খানের ছেলে নজরুল ইসলাম খান। 

তিনি জানান চেতনা নাশক খাবার খাইয়ে অচেতন করে ইজিবাইক ছিনতাই করা এ চক্রের মুল পেশা। প্রথমে চালকের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে। এরপর বিশ্বাস স্থাপন করে চেতনা নাশক খাবার খাইয়ে অচেতন করে ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেয়। বাধা আসলে তারা খুন করতেও পিছপা হয়না। শুধু ইজিবাইকই নয়, মোটরসাইকেলসহ নগদ টাকাও তারা লুট করে থাকে।

প্রেস ব্রিফিং এ আরো জানান, গত ২১ মার্চ বিকেলে মনিহার থেকে তুষার নামের একজনের ইজিবাইক ছিনতাই হয়। এছাড়া ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চাঁচড়া বাজার থেকে একই ভাবে জাকির হোসেন নামের আরেকজনের ইজিবাইক ছিনতাই হয়। এই দুই ঘটনায় মামলার তদন্ত পায় ডিবি। দুই ঘটনার সাথেই হোতা রাজুর জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমান পাওয়ায় তাকে ধরতে অভিযানে নামে ডিবি পুলিশ। 

যশোর ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপম কুমার সরকার মুঠোফোনে জানান, এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম রাজুকে সোমবার বিকেলে শহরের মাইকপট্টি থেকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্য বারান্দীপাড়া ও মাগুরা জেলায় অভিযান চালিয়ে চোরাই দুইটি ইজিবাইক ও একটি মোটরসাইকেল এবং একলাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। 

একই সাথে এ পন্য ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত নজরুলকে আটক করে। চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ জানতে পারেন মোটরসাইকেলটি গত ২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর যশোর সদর উপজেলার সিতারামপুর তারা মসজিদের সামনে থেকে চুরি হয়ে যায়। 

ওই মোটর সাইকেলের মালিক যশোর সদর উপজেলার সিতারামপুর গ্রামের শওকত আলী নামে এক ব্যক্তি। শওকত আলী যশোর আদালতে চাকরি করেন। মোটরসাইকেলটি সীতারামপুরের তারা মসজিদের সামনে থেকে চুরি হয়ে যায়। ওই একই এলাকা থেকে এমন এ জলিল নামে এক ব্যক্তির‌ একই বছর ডিসকভার ১১০ একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। 

থানায় নিয়মিত মামলা হলেও আজও সেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয়নি। ওই মামলায় কয়েক দফা তদন্তকারী অফিসার বদল হলেও মামলার কূল কিনারা পাইনি। এদিকে ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপণ কুমার সরকার আরো জানান,এই চক্রের সাথে জড়িত অন্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এইচআর

Link copied!