ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

বরগুনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিগ্যাল নোটিশ

বরগুনা  প্রতিনিধি

বরগুনা প্রতিনিধি

মে ২৭, ২০২৩, ০২:৪৭ পিএম

বরগুনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিগ্যাল নোটিশ

জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতার সনদ তৈরী, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জাল ওয়ার্কিং সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশন নেওয়াসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল এবং তাদের নামে ভূয়া ইমেইল আইডি খুলে কাজ ভাগিয়ে নেওয়া ঠিকাদারি সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবকে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন অলি আহমেদ নামে এক ঠিকাদার।

বরগুনা জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত লিগ্যাল নোটিশটি গত ১৮ এপ্রিল ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।লিগ্যাল নোটিশের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা-পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত মহা পরিচালক মো. রমজান আলী প্রামানিক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মজিবুর রহমান এবং পটুয়াখালীর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাবিবুর রহমানকে।

গত ৩০ এপ্রিল উক্ত নোটিশের জবাব দিয়েছেন বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে একই বিষয়ে আদালতে দুটি মামলা চলমান থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ নাই।    

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে অভিজ্ঞতা সনদ তৈরী, অর্থের বিনিময় এবং প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে সিন্ডিকেট তৈরী করে কাজ ভাগিয়ে নেওয়া, অন্যান্য ঠিকাদারকে কাজ করতে না দেওয়াসহ বিভিন্ন হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে পটুয়াখালী জেলার ৩ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে গত ৬ এপ্রিল বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন মো. অলি আহমেদ নামে এক ঠিকাদার।

মামলার বিবাদীরা হলেন, পটুয়াখালীর ঠিকাদার, নূরে এলাহী আলম ইভান, মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান হিরু, মো. মিজানুর আলম ওরফে স্বপন মৃধা। এর আগে গত ২১ মার্চ বরগুনা বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন আসাদ নামে অন্য এক ঠিকাদার। এ মামলায়ও পটুয়াখালী ও বরগুনার ৫জন ঠিকাদারসহ বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মো. শাহ জালাল নামে এক উপ-প্রকৌশলীকে আসামী করা হয়েছে।

এ মামলাটি ডিবিতে তদন্তাধীন আছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পটুয়াখালী জেলার ঠিকাদার মো. আক্তারুজ্জামান হিরু, নূরে এলাহী আলম ইভান, মো. মিজানুর আলম ওরফে স্বপন মৃধা এবং মো. রিয়াজ উদ্দিনসহ তাদের বেশ কয়েকজন সহযোগী প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে বরগুনা ও পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিংহভাগ বড় বড় কাজ ভাগিয়ে নিচ্ছে। এরা বড় ধরনের একটি প্রতারক চক্র।

তাদের বিরুদ্ধে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বারবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। উল্টো প্রভাবশালী ও প্রতারকচক্রের রোষানলে পরে শিকার হতে হয়েছে মিথ্যে মামলার। এমনকি নানা ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসে দাখিলকৃত পটুয়াখালীর অভিযুক্ত ঠিকাদার মো. রিয়াজ উদ্দীন মৃধার ৯টি, আবুল কালাম আজাদ এর ১০টি, এমডি মিজানুর আলমের ২টি এবং মহিউদ্দীন আহমেদ এর ২টি অভিজ্ঞতা সনদ সঠিক নয় (জাল) বলে সনাক্ত করেছেন বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড।

তবে এ বিষয়ে রিয়াজ উদ্দীন মৃধা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আপনি বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসে একাধিক জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন এবং যা সনাক্ত হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদারদের মধ্যে মো. আখতারুজ্জামান হিরু বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে মামলা ও অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক।

লিগ্যাল নোটিশকারী আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে তাদের ব্যবহৃত লাইসেন্স বাতিলে পদক্ষেপ নেন, সে বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ করা হয়েছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব এ বিষয়ে বলেন, আইনজীবীর মাধ্যমে একজন ঠিকাদারের একটি লিগ্যাল নোটিশ হাতে পেয়েছি এবং এ বিষয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাইছার আলম বলেন, আমি পটুয়াখালীতে কর্মরত থাকার প্রথম দিকে এসব ঠিকাদারের জালজালিয়াতির বিষয়টি বুঝতে পারিনি। পরে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম, পটুয়াখালীর এই ঠিকাদার চক্রটি দেশের একাধিক জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীদের স্বাক্ষর জাল করে অন্তত ৩শ’র বেশি জাল সার্টিফিকেট তৈরী করে জমা দিয়েছে। এ ব্যাপারে যখন ব্যবস্থা নিতে শুরু করি, তখন তারা আমার ওপর ক্ষুব্দ হয়।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা হয়েছে এবং সামগ্রিক বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরী করেছি।

এইচআর

Link copied!