ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

আবারও ভ্রমণের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে সুন্দরবন

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া

আগস্ট ৩১, ২০২৩, ১১:৩৮ এএম

আবারও ভ্রমণের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে সুন্দরবন

তিন মাস বন্ধ থাকার পর শুক্রবার ফের খুলছে সুন্দরবনের দুয়ার। দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সব ধরনের বনজীবীদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ খ্যাত বাংলার সবুজে ভরা প্রাণ সুন্দরবন। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর সুন্দরবনের করমজল, কটকা, কচিখালী, হারবাড়িয়া, হিরণ পয়েন্ট, দুবলার চর ও নীলকমলসহ সমুদ্র তীরবর্তী এবং বনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে লঞ্চ, ট্যুরবোট, ট্রলার ও বিভিন্ন নৌযানে চড়ে যেতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

এছাড়া বনের ওপর নির্ভরশীল জেলে, ট্যুর অপারেটর, লঞ্চ ও  বোটচালকরা আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য। ট্যুর ব্যবসায়ী ও বন বিভাগের প্রত্যাশা বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া ও দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞার পর অসংখ্য পর্যটক প্রতিদিন ভিড় করবেন সুন্দরবনে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন পর্যটকরা। একই সঙ্গে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ আহরণের জন্য পাস পারমিট নিয়ে ওই দিন থেকে বনে প্রবেশ করতে পারবেন বনজীবীরাও। তিনি আরো জানান, ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনের সব নদ-নদী ও খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছিল বন বিভাগ। মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় তিন মাস সব ধরনের মাছ আহরণ বন্ধের পাশাপশি সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়।

এদিকে সুন্দরবন করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির জানান, সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দে সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন খাতের উন্নয়নে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে করমজল স্পটে এক কিলোমিটার ফুটটেইল নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া একটি জুলন্ত ব্রিজ ও একটি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

একই সাথে পর্যটকরা বনের সকল তথ্য জানার জন্য করমজলে নির্মাণ করা হয়েছে ইনফরমেশন সেন্টার। আমরা আশা করছি, তিন মাস বন্ধ থাকার পর করমজলে পর্যটকের ভিড় বাড়বে। তাই আমরা বন বিভাগে দায়িত্বরত সবাই বনের স্পটগুলোকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।

মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিংয়ের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। ২০১৯ সাল থেকে এই কার্যক্রম চালু হয়েছে। এবার মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই সময় এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করেছে বন মন্ত্রণালয়।

এই তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পাস-পারমিটও। ফলে দীর্ঘ তিন মাস সুন্দরবন ছিল পর্যটক শূন্য।

এইচআর

Link copied!