Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪,

শ্রীপুরে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ৩৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়

জিয়াউর রহমান, শ্রীপুর (মাগুরা)

জিয়াউর রহমান, শ্রীপুর (মাগুরা)

সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩, ০৮:২৯ পিএম


শ্রীপুরে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ৩৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়

মাগুরার শ্রীপুরের প্রধান শিক্ষক না থাকায় ৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে কার্যক্রম। প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলো অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। আর এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকার কারণে ছাত্র ছাত্রীদের লেখাপড়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

শ্রীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার শ্রীপুর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৮৪টি। এর মধ্যে ১১টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে ২৫ জন শিক্ষক চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে ৩৪ জন সহকারি শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। বর্তমানে কর্মরত আছেন ৪০৭ জন সহকারি শিক্ষক।

উপজেলার ঘাসিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিবুল হক জানান, বদলী ও অবসরজনিত কারণে এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হওয়ায় সহকারি শিক্ষকদের মধ্যে একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে একজন সহকারি প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় পাঠদানের জন্য শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না। অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ চার থেকে পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে কোনো বিদ্যালয়ে যদি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য হয়, তাহলে শিক্ষক সংকট দেখা দেয়। তার ওপর আবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে প্রতি মাসের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দিন উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, ব্যাংকসহ বিভিন্ন অফিসে যাতায়াত করতে হয়। এতে পাঠদান ব্যাহত হয়।

সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে স্কুলগুলোতে জরুরিভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অবিভাবকেরা।

এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষকের এবং সহকারি শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এছাড়াও নির্ধারিত ছকে প্রতি মাসের তথ্য আমারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দিয়ে থাকি। আর যেসব শিক্ষকরা পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন তাদের নামের একটি তালিকাও ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। দ্রুতই প্রধান শিক্ষকের শূন্য থাকা পদগুলো পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

এআরএস

Link copied!