Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪,

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সৌর প্যানেলসহ আসবাবপত্র নিয়ে গেলেন চেয়ারম্যান

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩, ০৬:২১ পিএম


ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সৌর প্যানেলসহ আসবাবপত্র নিয়ে গেলেন চেয়ারম্যান

নেত্রকোনার মদন উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টার-২ (কদমশ্রী সকাল বাজার) থেকে সৌর প্যানেলসহ আসবাবপত্র,  দরজা ও জানালার পর্দা খুলে নিয়ে গেছেন ইউপি চেয়ারম্যান  মাইদুল ইসলাম খান মামুন । গত কয়েকদিন আগে এসব জিনিসপত্র তিনি পরিষদ ভবন থেকে বাড়িতে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান মাইদুল ইসলাম খান মামুনের  সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তিনি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সৌর বিদ্যুৎ সহ কিছু  আসবাব বাসায় এনেছি। একটি সৌর বিদ্যুৎ আমার ইঞ্জিল চালিত টলারে লাগিয়েছি আরেকটি মসজিদে দিয়েছি প্রয়োজনের সেগুলো ফেরত দিয়ে দেব।

সোমবার সরেজমিনে কদমশ্রী সকাল বাজারে গেলে বর্তমান ইউপি সদস্য মো. কামরুল ইসলাম  বলেন, আমাদের পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ডিজিটাল সেন্টারে প্রায় ৯ টি সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল ও ১৬ টি বড় ব্যাটারি ছিল। এগুলো চেয়ারম্যান কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজ ক্ষমতা বলে  নিয়ে গেছে ।

সাবেক ইউপি সদস্য রমজান মিয়া জানান, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা মূল্যমানের সৌর বিদ্যুৎ প্যানেলগুলো স্থাপন করে আইসিটি মন্ত্রণালয় হতে। মাইদুল ইসলাম খান মামুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আমাদের উক্ত ডিজিটাল সেন্টারটি বন্ধ করে দেয় । ডিজিটাল সেন্টারের আসবাবপত্রসহ সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল নিজ ক্ষমতা বলে খুলে নিয়ে তার নিজ বাসভবনে ও তার ইঞ্জিল চালিত টলারে এবং ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করছে।

কদমশ্রী সকাল বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের জন্য এ ডিজিটাল সেন্টারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।এখানকার মালামাল চেয়ারম্যান এভাবে নিয়ে যাওয়াটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। এ ব্যাপারে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং পুনরায় ডিজিটাল সেন্টারটি  চালু করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম পলাশ বলেন, পরিষদের আসবাবপত্র চেয়ারম্যান নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন- যা কোন সভ্য মানুষের কাজ নয়।

স্থানীয় বাসিন্দা অয়েছ উদ্দিন ও আবুল কালাম অভিযোগ করে বলেন আমাদের চেয়ারম্যানের কাছ থেকে মৃত্যু নিবন্ধন নিতে ৫০০থেকে ৭০০  ও নাগরিক সনদপত্র নিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহ আলম মিয়া বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার শাহানুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এআরএস

Link copied!