গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৩:২৪ পিএম
গোপালগঞ্জে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ফুফাতো ভাই নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় নিয়োগ সিটে স্বাক্ষর না করে মৌখিকভাবে পরীক্ষা বাতিল করার অভিযোগ উঠেছে সভাপতির বিরুদ্ধে।
নিয়োগ প্রক্রীয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত পাঁচজনের মধ্যে চারজন নিয়োগ সিটে স্বাক্ষর করলেও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন তনু নিয়োগ সিটে স্বাক্ষর না করে মৌখিকভাবে পরীক্ষা বাতিল করেন।
এমনটা ঘটেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সুকতাইল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষায়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সোহানুর শেখসহ স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়টির নৈশপ্রহরী পদের নিয়োগ পরীক্ষা গোপালগঞ্জ এসএম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন তনু, ডিজির প্রতিনিধি এসএম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখায়েত হোসেন, শিক্ষা সচিবের প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সেলিম তালুকদার, অভিভাবক সদস্য শেখ মফিজুর রহমান এবং সদস্য সচিব ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে নিয়ে নিয়োগ কমিটি গঠিত হয়।
কমিটি সকল নীতিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করে। লিখিত পরীক্ষায় নৈশপ্রহরী পদে ৯ জন প্রার্থী অংশ নেয়।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সেলিম তালুকদার বলেন, সকল নীতিমালা অনুসরণ করে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। কয়েকজন প্রার্থীর সনদপত্র সঠিক না থাকায় তাদেরকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেওয়া হয়নি। সভাপতির পছন্দের প্রার্থী নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ বঞ্চিত হওয়ায় তিনি চুড়ান্ত নিয়োগ সিটে স্বাক্ষর না করে চলে যান।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন তনু অভিযোগ করে বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সেলিম তালুকদার নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম করেছেন। এক প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় সাড়ে ২৭ নম্বর পাওয়ার পর ও তার সনদপত্রে ক্রটির অভিযোগ এনে তাকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দেননি শিক্ষা অফিসার। শিক্ষা অফিসারের পক্ষপাতিত্বের কারণে মৌখিকভাবে পরীক্ষা বাতিল করে আমি চলে আসি।
সেলিম/এআরএস
