কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৯:০২ পিএম
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৯:০২ পিএম
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের কিশোরগঞ্জ আগমন উপলক্ষ্যে ফুল দিতে গিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নসহ ৪ থেকে ৫ জন নেতাকর্মী।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। পরে বিকাল তিনটার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের স্টেশন রোডে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে নয়নের সমর্থকরা।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দীর্ঘ ১৮ বছর পর কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনা উলজেলা ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন। ইটনায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ সম্মেলনে উপস্থিত হতে ছাত্রলীগ কেন্দ্ৰীয় সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ঢাকা থেকে পাকুন্দিয়া হয়ে কিশোরগঞ্জে আসার পথে পাকুন্দিয়ার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সংঘর্ষ হয়। বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উমান খানের নেতৃত্ব জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপ জড়ো হয়। ছাত্রলীগ কেন্দ্ৰীয় সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের ওই এলাকায় আসার আগেই দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ হয়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক লুৎফুর রহমান নয়ন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বপন ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী আরিয়ান আহমেদ বিনয়সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে বিকাল ৩ টার দিকে শহরের স্টেশন রোডে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বপন জানান, ছাত্রলীগ কেন্দ্ৰীয় সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে ফুল দিতে গিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের লোকজনের দ্বারা হামলার শিকার হয়েছি। এ হামলায় আমি ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, কখন, কোথায় এ ঘটনা ঘটেছে এ সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। আমি সভাপতি এবং সেক্রেটারিকে নিয়ে প্রোগ্রামে ব্যস্ত রয়েছি। যারা এই অভিযোগ করেছে তারা মিথ্যা এবং বানোয়াট কথা বলেছে।এমন কোন ঘটনার সম্পর্কে আমার জানা নেই।
এআরএস