Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪,

মাগুরায় বিএনপির রোডমার্চে মানুষের ঢল

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩, ১২:৩৫ পিএম


মাগুরায় বিএনপির রোডমার্চে মানুষের ঢল

মাগুরায় বিএনপির রোডমার্চে অগণিত মানুষের ঢল, সরকার পতনের ১ দফা দাবিতে ঝিনাইদহ থেকে মাগুরা হয়ে খুলনা পর্যন্ত রোড মার্চ করে বিএনপি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিশাল এক কর্মী বাহীনি ঝিনাইদহ থেকে মাগুরার আসেন।

এ সময় মাগুরার প্রবেশ দ্বারখ্যাত আলমখালী বাজারে মাগুরা জেলা বিএনপির আহবায়ক আলীআহম্মেদ, আকতার হোসেন, মনোয়ার হোসেন খানসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীরা তাদেরকে স্বাগত জানান। ঝিনাইদহ থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চে মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী বাজার থেকে জেলার নেতা-কর্মীরা যোগ দেন।

দুপুরে রোডমার্চটি মাগুরা শহরের ভায়না মোড় হয়ে যশোর অভিমুখে রওনা দেয়। এরপর মাগুরা-যশোর সড়কের শেখপাড়া মসজিদের সামনে পথসভা করে। এ সময় মহাসড়কে প্রায় আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা দেশ স্বাধীন করেছি গণতন্ত্র, বাক্‌স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। কোনো রাজা-রানির রাজত্ব করার জন্য নয়। দেশে আজ কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করা হয়েছে। দেশ আজ হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। এখন দড়ি ধরে টান মারার সময় এসে গেছে।’

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস আরো বলেন, ‘আপনারা উদ্দীপ্ত হন, সম্মিলিত হন। ইনশাআল্লাহ, আমরা দড়ি ধরে টান মারব। এই হীরক রাজা আর থাকবে না। দেশ দেউলিয়া হওয়ার পথে, অর্থনীতি খারাপ। ডলারের রিজার্ভ শূন্যের কোঠায় ঠেকেছে। গত ১৫ বছর দেশে সীমাহীন লুটপাট চলেছে। পি কে হালদারসহ অনেক রাঘববোয়াল হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৯ হাজার কোটি টাকায়। এই চুরিদারির প্রতিবাদ করলে জেলে পাঠানো হচ্ছে। সময়মতো এই চোরদের বিচার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘আমরা একদফার দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। এই ফ্যাসিবাদী বিরোধী আন্দোলনে শত শত নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৪০ লাখ নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তারপরও বিএনপি মাঠ ছাড়েনি। কারণ, একটাই। হাসিনার পদত্যাগ ছাড়া বিএনপি ঘরে ফিরবে না।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান বলেন, ‘আর কত রক্ত দেশের মানুষ দিলে শেখ হাসিনা ক্ষান্ত হবে? এই খুনি জালিম সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত বিদায় না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘শয়তানির একটা সীমা আছে। সরকার চোর-ডাকাতদের মুক্তি দিচ্ছে, অথচ তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দিচ্ছে না। সময় থাকতে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করুন। নইলে মাইর একবার শুরু হলে রেহাই পাবেন না।’

এইচআর

Link copied!