Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিজিবির ভূমিকা প্রশংসনীয়’

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

নভেম্বর ১, ২০২৩, ০৮:২২ পিএম


‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিজিবির ভূমিকা প্রশংসনীয়’

পার্বত্যাঞ্চলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র কার্যক্রম খুবই প্রশংসনীয় উল্লেখ করে দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নের পথে বাধা হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারেও বিজিবির ভুমিকা প্রশংসনীয়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাঙ্গামাটি সেক্টরের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সেক্টর সদরের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত প্রীতিভোজ পূর্ব শুভেচ্ছা বিনিময়কালে দীপংকর তালুকদার এমপি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে তৎকালীন ইপিআর (বর্তমানে বিজিবি) বাহিনীর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। দেশ মাতৃকার স্বাধীকার আদায়ের লক্ষ্যে তাঁরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। দেশের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের দুইজন এই বাহিনীর সদস্য। এটি নিঃসন্দেহে গর্ব ও গৌরবের।

তিনি বিজিবি’র উত্তরোত্তর উন্নতি ও সফলতা কামনা করেন এবং জনহিতকর কাজের জন্য বিজিবি রাঙ্গামাটি সেক্টরকে ধন্যবাদ জানান।

বুধবার দুপুরে আয়োজিত প্রীতিভোজের পূর্বে বিজিবি রাঙ্গামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খান আগত সকল অতিথিদের বরণ করে নেন। এরপর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, ডিজিএফআই অধিনায়ক কর্নেল কর্ণেল আনোয়ারুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি সদর সেনা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল এরশাদ হোসেন চৌধুরীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ। এছাড়াও বিজিবি’র বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের জোন কমান্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রীতিভোজের পূর্বে বিজিবি রাঙ্গামাটি সেক্টরের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উপস্থিত সকলকে অবহিত করা হয়।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বাহিনীর নাম ছিল ইপিআর। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি নামকরণ করা হয়।

১৯৭৬ সালের ১ নভেম্বর যাত্রা শুরু হয় বিজিবি রাঙ্গামাটি সেক্টরের। শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকায় মারিশ্যা ও কাপ্তাই এ দুটি ব্যাটালিয়ন নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এই সেক্টর। এরপর ১৯৭৯ সালে বরকলে ১টি ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দীর্ঘদিন যাবৎ তিনটি ব্যাটালিয়ন নিয়ে এই সেক্টর এর কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে। ১৯৯৪ সালে সেক্টর সদর দপ্তর বর্তমান অবস্থানে (ঝগড়ার বিলে) স্থানান্তরিত হয়। ১৯৮৮ সালে ছোট হরিণায় এবং ১৯৯৪ সালে রাজনগরে ২টি ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অত্র সেক্টর অরব্যাট এ সংযোজিত হয়।

এআরএস

Link copied!