Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪,

চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর চমক!

আগামীকাল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম ব্যুরো

নভেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম


আগামীকাল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন

প্রাচ্যের রানী খ্যাত চট্টগ্রামে একের পর এক চমক লাগিয়ে দিচ্ছেন আওয়ামীলীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু টানেলের পর আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রামের বহুল প্রতীক্ষিত মেগা প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ নামকরণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) এর প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, ১৫.২ কিলোমিটারের এক্সপ্রেসওয়ে।

র‌্যাম্পসহ ২০ কিলোমিটার। তবে র‌্যাম্পের কাজ এখনো শুরু হয়নি। আগে লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে দুই ঘণ্টার বদলে মাত্র ২০ মিনিট লাগবে। ভোগান্তি লাগব এবং অর্থ সাশ্রয় ও ব্ন্দরকেন্দ্রীক ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি বাড়বে। ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

প্রধানমন্ত্রী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে আরো ৫৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বায়েজিদ-ফৌজদারহাট ৫ কিলোমিটার লিংক রোড এবং চন্দনপুরা-কালামিয়া বাজার দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সেস সড়কটিও উদ্বোধন করবেন। প্রকল্প পরিচালক ও চউকের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, উদ্বোধনের পর যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে না। পুরো কাজ শেষ হতে আর কিছু দিন সময় লাগবে। পতেঙ্গা টানেলের মুখ থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরোপুরি সুবিধা পেতে সব র‍্যাম্প চালু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এক্সপ্রেসওয়ে সমুদ্র বন্দর ও বিমান বন্দরের কানেকটিভিটি সহজ করবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।

উল্লেখ্য,নগরীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ধরা হয়। তিন বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। দ্বিতীয় দফায় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তৃতীয় দফায় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তব করা হয়। এ দফায় সময় বেড়েছে এক বছর। অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

Link copied!