Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে না ধরে প্রহরীকে নিয়ে গেলো পুলিশ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩, ০৭:১৮ পিএম


হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিকে না ধরে প্রহরীকে নিয়ে গেলো পুলিশ

কক্সবাজার শহরের জমি বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে থানায় মামলা হয়। সে মামলার পলাতক আসামি আব্দুর রহমান (৫০)।

বুধবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের উত্তর বাহারছড়া এলাকায় ওই আসামির বাসায় যায় কক্সবাজর সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। তাদের সামনেই ছিল পলাতক আসামি আব্দুর রহমান। সেই আসামিকে না ধরে প্রহরী আব্দুল মতলব ও তার ছেলে নুরুল হাসনাতকে তুলে নেয় পুলিশ। প্রতিবেদকের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে এসব তথ্য স্পষ্ট।

ভুক্তভোগী প্রহরীর বড় ছেলে নুরুল আবছার বলেন-বাড়ির মালিক ও তার ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এমতাবস্থায় পুলিশ আসে বাসায়। কিন্তু হত্যাচেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি আব্দুর রহমানকে না ধরে আমার বাবা প্রহরী আব্দুল মতলব ও আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যায়। এখন দুইপক্ষের কারও সঙ্গে কিছু না করে। আমার বাবার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে চালান দিবে বলছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন- এএসআই সাইফুল ও ওসি তদন্ত কাইছার হামিদ মিলে মালিকের ভাইয়ের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আমার বাবাকে অহেতুক হয়রানী করছে। কারণ ইয়াবা মামলার আসামি রহমান বিভিন্ন মদপান করে বাসায় প্রবেশের সময় আমার বাবা বাঁধা দিতো। যার ক্ষোভ হিসেবে পুলিশকে ব্যবহার করছে তারা। আমি এবিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিবো।

আসামি আব্দুর রহমানের ভাই আব্দুর রহিম বলেন- আমাদের পারিবারিক বিরোধ চলছে। কিন্তু হতদরিদ্র প্রহরীকে পু্লিশ কেনো নিয়ে গেছে বুঝতে পারছি না। আমার ভাই (রহমান) একটি মামলায় পলাতক আসামী। তাকে না নিয়ে উল্টো প্রহরী মতলব কে নিয়ে গেলো। শুনতেছি আমার ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে পুলিশ। যার কারণে প্রহরী ও তার ছেলেকে হয়রানি করছে।

পলাতক আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে ইয়াবা, চেক প্রতারণা ও হত্যাচেষ্টার তিন মামলা রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন- কন্ট্রোল থেকে কল পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যায়। তাদের নিয়ে আসার পর বাদী-বিবাদী অভিযোগ বা এজাহার না দেয়ায় পুলিশ তাদের কোর্টে প্রেরণ করেছে।

প্রতিপক্ষের লোকজন থেকে টাকা নিয়ে তাদের হয়রানির উদ্দেশ্যে পুলিশ স্ব-প্রণোধিত হয়ে কোর্টে পাঠাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- যেহেতু কেউ অভিযোগ বা মামলা করতে রাজি নয় তাই ১৫১ ধারায় সন্দেহবাজন হিসেবে তাদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান বলেন- সে কোন মামলার আসামী আমি জানি না। ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ গিয়েছিলো। যদি এমন কোনকিছুর সু-ষ্পষ্ট প্রমান তাকে তাহলে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বাদী-বিবাদীর যদি কোন অভিযোগ না থাকে তাহলে পু্লিশ কেনো এমন করলো তা খোঁজ নিচ্ছি। আর যদি পুলিশিংয়ে কোন নিয়মের ব্যর্থই ঘটে তাহলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবো। ভুক্তভোগীদের আমার বরাবর অভিযোগ দিতে বলেন আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।

এইচআর

Link copied!