Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

র‍্যাবের অভিযানে গহীন পাহাড়ে আরসার শীর্ষ তিন সদস্য আটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০৭:১৯ পিএম


র‍্যাবের অভিযানে গহীন পাহাড়ে আরসার শীর্ষ তিন সদস্য আটক

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে র‍্যাব। এসময় উখিয়ার লাল পাহাড়ের আস্তানা থেকে মজুদকৃত অস্ত্রসহ তিনজন আরসা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোর রাত থেকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০ এক্সটেনশন সংলগ্ন লাল পাহাড়ে ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগকারী আরসা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র‍্যাব এ অভিযান চালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের মিডিয়া কর্মকর্তা আবু সালাম চৌধুরী।

র‍্যাব কমান্ডার সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, আরসা প্রধান  আতাউল্লাহ জুনুনি ও মাস্টার খালেদের নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লাল পাহাড়ে আস্তানা গেঁড়ে সেখানে অস্ত্র মজুত করে আরসা সন্ত্রাসীর একটি গ্রুপ। আতাউল্লাহ ও খালেদের নির্দেশে সেই সব অস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেন তারা।

এই আস্তনায় ৬-৭ জনের একটি গ্রুপ অবস্থান করার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিরা অভিযান টের পেয়ে পলিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে ২২ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও একশ‍‍`র অধিক আ্যমুনোশন উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আরসার গান কমান্ডার উসমান, মাইন বিশেষজ্ঞ নেছার ও শ্যুটার ইমাম হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃত উসমান হলেন আরসার গান গ্রুপের কমান্ডার। গত দুয়েক মাস আগে আরসার গান গ্রুপ কমান্ডার সমিউদ্দিন র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হলে পরবর্তীতে উসমানকে গান গ্রুপ কমান্ডার নিযুক্ত করেন আরসা। আরসার সঙ্গে নিজের নাম লেখানোর আগে তিনি পার্শ্ববর্তী দেশে সেনাবাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করতো বলে জানান র‍্যাব। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে উসমানের পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করে মিয়ানমার সরকার। তখন উসমান একটি একে-৪৭ সহ পালিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে মাস্টার খালেদের সাথে আরসায় যোগ দেন বলে জানান র‍্যাব ।

র‍্যাব আরো জানান,  উসমান নিজ হাতে দুইজনকে  হত্যা করে। তার মধ্যে একজন হলো ক্যাম্প -১৭ এর আব্দুল্লাহ। আরেকজনকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে জবাই করে হত্যা করেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে  উসমান।

আরসার মাইনগ্রুপের ১০ সদস্যের মধ্যে নেছার হলেন মাইন বিশেষজ্ঞ।  যার হাত দিয়ে তৈরি করেছে ৫ শ‍‍`র অধিক মাইন। এসব মাইন তিনি গ্রুপের সদস্যদের মাধ্যমে আরসা সদস্যদের একজনকে দুই তিনটি মাইন ডিস্ট্রিবিউট করে দিতো নাশকতা করার জন্য। নেছার স্বীকারোক্তি দিয়েছেন উল্লেখ করে র‍্যাব জানায়, নেছার নিজ হাতে ৫ শতাধিকের উপরে মাইন তৈরি করেছেন।

এছাড়াও গ্রপ্তারকৃত ইমাম হোসেন দক্ষ শ্যুটার। তিনি উসমানের গানগ্রুপের একজন সক্রিয় সদস্য বলে জানান র‍্যাব। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব।

এইচআর

Link copied!