ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

কাউনিয়ায় আমন ধান সংগ্রহ শূন্যের কোঠায়

মো. সাইফুল ইসলাম, কাউনিয়া (রংপুর)

মো. সাইফুল ইসলাম, কাউনিয়া (রংপুর)

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০৪:২১ পিএম

কাউনিয়ায় আমন ধান সংগ্রহ শূন্যের কোঠায়

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় সরকারিভাবে খাদ্য গুদামে আমন ধান সংগ্রহ শূন্যের কোঠায় রয়েছে। এছাড়াও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমেও নেই গতি। গুদামে ধান নিতে অতিরিক্ত কেরিং খরচ, ধান শুকানো ও পরিষ্কার করা, গুদাম কর্মকর্তার ব্যবহারসহ বিল উত্তোলনে ঝামেলায় এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরকারিভাবে ধান ও চাল সংগ্রহের অভিযান শুরুর প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত এক কেজি ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।

গত সোমবার পর্যন্ত চাল সংগ্রহ হয়েছে ৭৭০.৬১০ মেট্রিক টন। সংগ্রহ অভিযান শুরু হয় গত নভেম্বর মাসে। চলতি আমন ধান-চাল সংগ্রহ মৌসুমে কাউনিয়া খাদ্যগুদামে সরকারিভাবে চাল সংগ্রহের বরাদ্দ রয়েছে ১ হাজার ১৩২ মেট্রিক টন। এছাড়া ধানের বরাদ্দ রয়েছে ৪০২ মেট্রিক টন।

উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্র জানা গেছে, চাল প্রদানে চুক্তিবদ্ধ মিলারের সংখ্যা ৩৮টি। তবে উপজেলায় মোট মিলারের সংখ্যা ৯২টি। এদিকে গত একসপ্তাহ ধরে উপজেলার হাটবাজারগুলোতে চালের দাম বেড়েই চলেছে।

নিজপাড়া গ্রামের কৃষক প্রহলাদ চন্দ্র জানান, তিনি স্থানীয় বাজারে প্রতিমণ ধান বিক্রি করেছেন ১১৮০ টাকায়। বলেন, বাজারে ঝামেলা নাই, নগদ টাকা পাই পাইকারকে ধান দিয়ে আসি। ১১৬০ থেকে ১১৮০ টাকা ধান বিক্রি হয়। গত একসপ্তাহ ধরে বাজারে ধানের দাম একটু চড়া।

রাজিব গ্রামের কৃষক সোহরাব হোসেন বলেন, আমি মৌসুমে ১০৯০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করেছি।

ধান ব্যবসায়ী দুলু বলেন, মৌসুমের শুরুর দিকে প্রতিমণ ধান ৯৮০টাকা থেকে ১০২০ টাকা পর্যন্ত ধান কিনেছি। বর্তমানে ১২৫০ টাকা থেকে ১২৭০ টাকায় কিনছি।

মিল চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি মিনহাজুর রহমান হেনা জানান, বাজারে ধানের দাম বেশি আমরা লাইসেন্স ঠিক রাখতে লস করে গুদামে চাল দিচ্ছি।

উপজেলার হাটবাজারগুলো ঘুরে জানা গেছে, বড় বড় অটোরাইস মিল মালিকরা মাঠপর্যায়ে পাইকার দিয়ে কমিশনের ভিত্তিতে ধান সংগ্রহ করে তাদের মিলে মজুত করছে। এই সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারি গুদামে ধানও চাল নিতে হিমশিম খেতে হয় কর্মকর্তাদের।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সোহেল আহমেদ আমার সংবাদকে জানান, ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলবে। বাজার দর বেশি হলেও চাল সংগ্রহ অভিযান সফল হবে বলে আমি আশাবাদী। এছাড়া গত বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সংগ্রহ অভিযান সফল হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইএইচ

Link copied!