ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
ফরিদপুরে চর্মরোগের চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে ছোটভাইকে গলাটিপে হত্যার দায়ে বড় ভাইকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী নওয়াব আলী মৃধা রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ আদেশ দেন।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম মো. নাজমুল মোল্লা (২৯)। তিনি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের দক্ষিণ চরবাগাট গ্রামের বাসিন্দা।
রায় প্রদানের সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে হাজির ছিলেন না। রায় প্রদানের সময় আদালত মো. নাজমুল মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ জুন সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে নাজমুল তার ছোট ভাই তামজিদ মোল্লা (১৪) কে তার পায়ের চর্মরোগের জন্য চিকিৎসক দেখানোর জন্য স্থানীয় রাজধারপুর বাজারে নিয়ে যায়। এরপর সকালে সাড়ে দশটার দিকে তামজিদকে রেখে বড় ভাই নাজমুল বাড়িতে ফিরে আসেন। বাড়ির লোকজন নাজমুলের কাছে ছোটভাই কোথায় জানতে চাইলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। পরে স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি সবাইকে জানায় তিনি তার ছোটভাইকে গলাটিপে হত্যা করে দক্ষিণ চরবাগাটের কালিদাসের পাট ক্ষেতের পাশে রেখে এসেছে। এ ঘটনায় ওইদিনই (১২ জুন) নাজমুলের বাবা মো.অহিদ মোল্লা বাদী হয়ে নাজমুলকে একমাত্র আসামী করে মধুখালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) তোতা মিয়া নাজমুলকে অভিযুক্ত করে করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী নওয়াব আলী মৃধা বলেন, ভাইয়ের হাতে ভাই খুন এটা খুবই হৃদয় বিদারক ঘটনা। এ মামলার রায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে অপরাধীদের অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই জেনে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে। আমরা এ রায়ে খুশি।
এআরএস
