ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ফরিদগঞ্জে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রহস্যজনক আগুন

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

মার্চ ৩, ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম

ফরিদগঞ্জে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রহস্যজনক আগুন

রহস্যজনক আগুনে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে নিরাপদ মাতৃত্বের সেবাদান ও স্বাভাবিক প্রসব প্রক্রিয়া।

রোববার সকালে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে উপস্থিত হলেও ততক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও এবং জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ও স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আয়া নাছরিন আক্তার।

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আয়া নাছরিন আক্তার বলেন, সকালে ছাদে পায়চারি করার সময়ে নিচতলা থেকে আগুনের ধোঁয়া উঠতে দেখি। তাৎক্ষণিক আমি দোতলায় থাকা স্টাফ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নিচে নামতে গিয়ে দোতলায় উঠার দরজা বন্ধ পাই। এ সময় সোনিয়া ও তানিয়াসহ পেছনের গাছ বেয়ে নিচে নেমে আসি। তাৎক্ষণিক বাইরে থাকা পিয়ন জামাল তালুকদারকে ফোন দিলে তিনি দৌড়ে এসে দরজা খুলে দিলে দোতলায় আটকে থাকা বাকিরা বেড়িয়ে আসেন। আগুনে আমার মোটর সাইকেলটি পুড়ে গেছে।

স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিয়ন জামাল তালুকদার জানান, তিনি সকালে কাজ শেষে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটু দুরে চায়ের দোকানে চা খেতে যান। আয়া নাছরিনের ফোন পেয়ে দ্রুত গিয়ে নিচতলায় আগুনের ধোঁয়া দেখতে পাই। পরে দোতলায় উঠার দরজা খুলে দিলে অন্যরা বেরিয়ে আসেন।

সংবাদ পেয়ে জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ডা. নাছির আহমেদ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জি এস তছলিম আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মাহফুজ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ফয়সাল হোসেন জানান, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে তারা সুন্দরভাবে সাজিয়ে ছিলেন। এই কেন্দ্রে প্রসব হওয়ার প্রসূতিকে তারা নিজেরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপহার দিতেন। কিন্তু আগুনে সেবা গ্রহণ বন্ধ হয়ে গেল।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ডা. নাছির আহমেদ বলেন, পুরো উপজেলায় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি স্বাভাবিক প্রসবের দিক থেকে সেরা। সেবাদানেও তারা অনেক এগিয়ে। কীভাবে আগুন লাগলো তার সঠিক তদন্তের বিষয়টি প্রশাসন দেখবে বলে বিশ্বাস করি। সংবাদ পেয়ে আমরাও দেখতে এসেছি।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জি এস তছলিম আহমেদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সঠিক তদন্ত প্রয়োজন। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা থাকবে।

ইএইচ

Link copied!