ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ডিজিটাল ফিল্ম নেই, এক্স-রে সেবা বন্ধে বিপাকে রোগীরা

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

মার্চ ২৭, ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম

ডিজিটাল ফিল্ম নেই, এক্স-রে সেবা বন্ধে বিপাকে রোগীরা
ছবি: আমার সংবাদ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিজিটাল ফিল্ম না থাকায় এক্স-রে করতে গিয়ে  দুর্ভোগের শিকার রোগী এবং তাদের স্বজনরা মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এক্স-রে সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

ডিজিটাল ফিল্ম না থাকায় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী ফিরে যাচ্ছেন এক্স-রে সুবিধা না পেয়ে। অনেক রোগী বেসরকারি ক্লিনিক অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা দিয়ে এক্স-রে করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ রোগীর স্বজনরা। এ অবস্থায় দ্রুত এক্স-রে ফিল্ম নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে রোগীর স্বজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে খুব দ্রুত এক্স-রে ফিল্ম আসবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫৫ দিন ধরে ডিজিটাল এক্স-রে ফিল্মের সরবরাহ নেই। ফলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ জনকে এক্স-রে পরীক্ষা দেওয়া হয়। বিশেষ করে যে কোন দুর্ঘটনা এবং মারামারির রোগীদের প্রয়োজন বুঝে এক্স-রে করাতে হয়।

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও রেডিওগ্রাফিস্ট মো. মকছেদ আলী মল্লিক বলেন, হাসপাতালের ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বেশ ভালো (৩০০ এম.এ) মানের। কিন্তু ফিল্মের অভাবে গত ৫৫ দিন থেকে এ সেবা বন্ধ রয়েছে।

নূর হোসেন, সাইফুল ইসলাম, বায়োজিদসহ কয়েকজন রোগী আমার সংবাদকে বলেন, হাসপাতালে এক্স-রে করাতে ৫৫ থেকে ৭০ টাকা লাগলেও বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা লাগে। কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি নেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া হাসপাতালে উন্নত মানের ৩০০ এমএ এক্স-রে মেশিন থাকলেও বাইরে ১০০ বা ২০০ এমএ মেশিনে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। অনেক সময় মান খারাপের অজুহাত দেখিয়ে বাইরে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা খরচে ডিজিটাল মেশিনে এক্স-রে করানো হচ্ছে।

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ৩ হাজার ৮৫৪ টি এক্স-রে করা হয়েছে। এর মধ্যে গরীব রোগীদের বিনামূল্যে ৩৮টি এক্স-রে করা হয়েছে। এ সময়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বরাদ্দ ছিলো ৭৫০টি বড় এবং ৩০০টি মাঝারি মিলিয়ে মোট এক হাজার ৫০টি এক্স-রে ফিল্ম সরবরাহ করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রোগীদের বাইরে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফয়সল নাহিদ পবিত্র আমার সংবাদকে বলেন, ডিজিটাল এক্স-রে করানোর জন্য আপাতত ফিল্ম নেই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে যে কোনো মুহূর্তে ফিল্ম চলে আসবে।

এআরএস

Link copied!