Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪,

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ডিজিটাল ফিল্ম নেই, এক্স-রে সেবা বন্ধে বিপাকে রোগীরা

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

মার্চ ২৭, ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম


ডিজিটাল ফিল্ম নেই, এক্স-রে সেবা বন্ধে বিপাকে রোগীরা
ছবি: আমার সংবাদ

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিজিটাল ফিল্ম না থাকায় এক্স-রে করতে গিয়ে  দুর্ভোগের শিকার রোগী এবং তাদের স্বজনরা মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এক্স-রে সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

ডিজিটাল ফিল্ম না থাকায় প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী ফিরে যাচ্ছেন এক্স-রে সুবিধা না পেয়ে। অনেক রোগী বেসরকারি ক্লিনিক অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কয়েক গুণ বেশি টাকা দিয়ে এক্স-রে করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ রোগীর স্বজনরা। এ অবস্থায় দ্রুত এক্স-রে ফিল্ম নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে রোগীর স্বজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে খুব দ্রুত এক্স-রে ফিল্ম আসবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫৫ দিন ধরে ডিজিটাল এক্স-রে ফিল্মের সরবরাহ নেই। ফলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ জনকে এক্স-রে পরীক্ষা দেওয়া হয়। বিশেষ করে যে কোন দুর্ঘটনা এবং মারামারির রোগীদের প্রয়োজন বুঝে এক্স-রে করাতে হয়।

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও রেডিওগ্রাফিস্ট মো. মকছেদ আলী মল্লিক বলেন, হাসপাতালের ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বেশ ভালো (৩০০ এম.এ) মানের। কিন্তু ফিল্মের অভাবে গত ৫৫ দিন থেকে এ সেবা বন্ধ রয়েছে।

নূর হোসেন, সাইফুল ইসলাম, বায়োজিদসহ কয়েকজন রোগী আমার সংবাদকে বলেন, হাসপাতালে এক্স-রে করাতে ৫৫ থেকে ৭০ টাকা লাগলেও বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা লাগে। কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি নেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়া হাসপাতালে উন্নত মানের ৩০০ এমএ এক্স-রে মেশিন থাকলেও বাইরে ১০০ বা ২০০ এমএ মেশিনে এক্স-রে করাতে হচ্ছে। অনেক সময় মান খারাপের অজুহাত দেখিয়ে বাইরে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা খরচে ডিজিটাল মেশিনে এক্স-রে করানো হচ্ছে।

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ৩ হাজার ৮৫৪ টি এক্স-রে করা হয়েছে। এর মধ্যে গরীব রোগীদের বিনামূল্যে ৩৮টি এক্স-রে করা হয়েছে। এ সময়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বরাদ্দ ছিলো ৭৫০টি বড় এবং ৩০০টি মাঝারি মিলিয়ে মোট এক হাজার ৫০টি এক্স-রে ফিল্ম সরবরাহ করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রোগীদের বাইরে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।

কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফয়সল নাহিদ পবিত্র আমার সংবাদকে বলেন, ডিজিটাল এক্স-রে করানোর জন্য আপাতত ফিল্ম নেই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে যে কোনো মুহূর্তে ফিল্ম চলে আসবে।

এআরএস

Link copied!