Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪,

তাপদাহে ঝরছে আমের গুটি, দুশ্চিন্তায় কৃষক ও বাগান মালিক

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি :

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি :

এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম


তাপদাহে ঝরছে আমের গুটি, দুশ্চিন্তায় কৃষক ও বাগান মালিক

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এবার গাছে গাছে বিপুল পরিমাণে মুকুল এসেছিল। গাছগুলোতে আমের গুটিও ছিল অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এছাড়া শুরু থেকেই বাড়তি যত্নে কৃষক পর্যায়ে কিংবা বাগানগুলোতে এসব গুটি থেকে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছিলো আমগুলো। তবে গত কদিনের টানা তীব্র দাবদাহে গাছে থাকা আমের গুটির বৃদ্ধি ও টিকে থাকা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বাগান ও গাছের মালিকরা।

মূলত সপ্তাহব্যাপী টানা তীব্র দাবদাহের কারণে আমের গুটি গুলো ঝরে পড়ছে বলে মনে করছেন কৃষকরা।

এতে লোকসানের মুখে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আম বাগানের মালিক ও কৃষকরা। তাই ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে জরুরি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানিয়েছেন।

সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আম বাগান ও কৃষকের আম গাছের নিচে ছোট বড় অসংখ্য গুটি পড়ে আছে।

এ সময় উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের হোসেন আলী, তারেকসহ অনেকেই জানান, এ বছর তাদের গাছে মুকুল কিছুটা দেরিতে আসলেও ফাল্গুন মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে মুকুলের আংশিক ক্ষতি হলেও স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায়  সেচ দেওয়ায় ওই সময়ে মুকুলের খুব বেশি ক্ষতি হয়নি।

কিন্তু এবারের একটানা খরার কারণে আমের গুটি বড় হচ্ছে না, বোঁটা শুকিয়ে ঝড়ে পড়ছে আমের গুটি। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির পানি না হলে সেচ দিয়েও খুব বেশি কাজ হচ্ছে না।

উপজেলার জিনারী গ্রামের মোঃ জলিল মিয়া জানান, গত ৭/৮ দিনের খরায় আমের গুটির প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে। তবে সম্প্রতি যারা বাগান বা আম গাছে সেচ দিয়ে ছত্রাকনাশক স্প্রে করেছে, তাদের বাগানে আমের গুটি, টিকে আছে তুলনা মূলক বেশি। ফলে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমের উৎপাদন খুবই কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে তারা মোটা অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম শাহজাহান কবির জানান, এ বছর দু’টি কারণে আমের উৎপাদন কমে যেতে পারে। একটি হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন, আরেকটি হচ্ছে উপজেলার  সকল আমবাগান কিংবা কৃষকের আম গাছে সময়মতো পরিচর্যা ও সেচ না দেয়া। 

এসব কারণে এক আম গাছ কিংবা বাগানের পোকামাকড়গুলো অন্য বাগানগুলোকে টানা খরার কারণে আক্রান্ত করছে বেশি। যার ফলে এবার আমের উৎপাদন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিআরইউ

Link copied!