ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

নোয়াখালীতে বাবার মৃত্যুর পর মেয়ের আত্মহত্যা

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী প্রতিনিধি

জুন ৬, ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম

নোয়াখালীতে বাবার মৃত্যুর পর মেয়ের আত্মহত্যা

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাবার রহস্যজনক মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর গলায় ফাঁস দিয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে নোয়াখালীর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে’র বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- নোয়াখালীর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উকিল পাড়ার নরেশ চন্দ্র দে (৫০) ও তার মেয়ে তিশা দে (১৯)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নরেশ চন্দ্রের মেয়ে তিশা ফেনীর একটি কলেজে পড়ত। পড়ালেখা অবস্থায় সেখানে একটি মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। বিষয়টি তার বাবা জানতে পেরে তাকে ফেনী থেকে নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীর নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ নিয়ে মেয়েকে বুঝানোর অনেক চেষ্টা করেন বাবা। সে যেন তার স্বামীর সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু মেয়ে তার স্বামীর পক্ষে অনড় ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের ছোট ছেলে স্কুলে যাওয়ার সময় বাবার কাছে টাকার জন্য গেলে দেখে তার বাবার নিথর দেহ তার কক্ষে পড়ে আছে। আশেপাশে রক্ত। ডায়ালাইসিসের ফিস্টুলার স্থান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পরে তার চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসে। তিশা বাবার এ অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে আলাদা একটা কক্ষ গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, নরেশ কিডনি রোগী ছিলেন। তিনি বাসায় ডায়ালাইসিস করতেন। তার মেয়ে ফেনী মেডিকেলে পড়ত। সেখানে একজন মুসলিম ছেলেকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে। বিষয়টি তিনি ভালোভাবে নেননি। এজন্য মেয়েকে ফেনী থেকে নিয়ে আসেন।

ওসি আরও বলেন, এরপর মেয়েকে সারারাত বুঝানোর চেষ্টা করেন। মেয়ে নাছোড় বান্দা। এ নিয়ে চিল্লাচিল্লি করে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান। পরে মেয়ে দেখল সেতো ঘটনা খারাপ করছে। পরবর্তীতে বাবার মৃত্যুর আধাঘণ্টা পর মেয়ে গিয়ে আত্মহত্যা করে। বিকাল ৪টার দিকে দুটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

ইএইচ

Link copied!