ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

শান্তিগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, হাওর-নদী পানিতে টইটম্বুর

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

জুন ৭, ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম

শান্তিগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, হাওর-নদী পানিতে টইটম্বুর

পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে গত সপ্তাহে পানিতে টইটম্বুর হয়েছে শান্তিগঞ্জ উপজেলার ছোটবড় প্রায় ২৩টি হাওর। পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে নদী, বিল-ঝিল। ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের তুলনামূলক নীচু গ্রামগুলোর রাস্তাঘাট। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে শুরু করেছেন পানিবন্দি মানুষগুলো।

পারাপারের জন্য ব্যবহার করছেন নৌকা। যাদের নৌকা নেই পানিতে ভিজেই চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্রমাগত পানি বৃদ্ধি হলেও শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত তেমন একটা পানি বৃদ্ধি হয়নি।

আকাশে ঝলমলে রোদেরও দেখা মিলেছে সারাদিন। তবে আকাশ মেঘলা থাকলে কিংবা বৃষ্টিপাত হলে শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাওরপাড়ের এই মানুষগুলোর মনে শঙ্কা বেড়ে যায়।

এদিকে, নতুন পানির সাথে হাওরে এসেছে দেশি জাতের মাছ। মা মাছেরা পোনা ফুটিয়েছে। প্লাস্টিক জাতীয় চোঙাকৃতির মাছ ধরার যন্ত্র পেতে কিংবা রিং জাল পেতে পোনামাছসহ সব ধরনের মাছ ধরতে শুরু করেছেন এই উপজেলার জেলেরা। এতে মৎস্য প্রজননও হুমকির মুখে পড়েছে।

শুক্রবার উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের আস্তমা, নোয়াগাঁও (কাকিয়ারপাড়), দরগাপাশা ইউনিয়নের ইসলামপুর, পাইকাপন, পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের সলফ, হাঁসকুড়ি, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের কাদিপুর, ইনাতনগর, নবীনগরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে প্লাবিত হয়েছে৷ বেশ কিছু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ার সাঁকো ব্যবহার করছেন অনেকে। অনেকে আবার চলাচলের জন্য ব্যবহার করছেন নৌকা। এখনো ঘরবাড়ি প্লাবিত না হওয়ার কারণে বন্যার্তদের কেউই কোনো আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

তবে বৃষ্টি হলেই বাড়ছে পানি। এ নিয়ে বেশ শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ। তারা বলছেন, বন্যার কথা মনে হলেই বাইশের বীভৎস চিহ্নের কথা চোখে ভেসে উঠে। গা শিউরে উঠে। মনে ভয় জাগে। বন্যার এমন ভয়াবহতা চাই না।

আস্তমা গ্রামের বাসিন্দা জিল্লুর রহমান, লায়েক মিয়া ও আরজক আলী বলেন, দু’তিন আগে যে পানি বেড়েছিল আমরা তাতে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমাদের গ্রামের বেশ কিছু রাস্তা তলিয়ে গেছে। এখনো পানিতে ডুবে আছে৷ কান্দিহাটির মেইন সড়কই ডুবে আছে। তবে আজ (শুক্রবার) পানি বাড়েনি। তিনচার আঙুল পানি কমেছে।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহা বলেন, বন্যার বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি আছে। এখনো পর্যন্ত কোনো এলাকা তেমনভাবে প্লাবিত হয়েছে বলে কোনো খবর আমাদের কাছে নেই। বন্যার কারণে যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হন আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

ইএইচ

Link copied!