ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করেই চলছে সংসার, পিছিয়ে নেই নারীরা

বরিশাল ব্যুরো:

বরিশাল ব্যুরো:

আগস্ট ৩, ২০২৪, ১০:৫২ এএম

প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করেই চলছে সংসার, পিছিয়ে নেই নারীরা

বরিশালে পথে ঘাটে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল আয়ের পথ দেখিয়েছে দরিদ্রদের। এতে টনকে টন বর্জ্য থেকে রক্ষা পাচ্ছে পরিবেশ। আর পরিত্যক্ত প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাত করে রফতানি হচ্ছে বিভিন্ন দেশেও। ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে সংগ্রহ করা পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল বাছাই করে রিসাইক্লিংয়ের জন্য প্রস্তুত করছেন নারী শ্রমিকরা।

এসব বোতল পরিষ্কার করে কাটিং মেশিনের মাধ্যমে টুকরো করে পাঠানো হয় ঢাকাতে। সেখানে এসব টুকরো করা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয় নতুন প্লাস্টিক পণ্য। আর প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করেই চলছে নারীদের সংসার। বরিশাল নগরীতে প্লাস্টিক রিসাইক্লিংয়ের মাত্র দুটি কারখানা থাকলেও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর তা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৭টিতে।

কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে বেকার নারী-পুরুষের। নারী শ্রমিকরা বলেন, ‘আগে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হতো। তবে এখন প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানায় কাজ করে মাসে ৬ থেকে ১০ হাজারের বেশি বেতন পাই। আর সেই বেতন দিয়েই সুখে চলছে সংসার। ছেলে-মেয়েদেরও করাতে পারছি লেখাপড়া। শুধু তাই নয় প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা কাজ করে তাদের জীবন পাল্টে দিয়েছে। নারীরা প্রতিদিনই কাজে আসেন। করছেন আয়। ঈদে পাচ্ছে বোনাসও।

বরিশাল নগরীর ৫ নং ওয়ার্ডের পলাশপুর ঘেরের পাড় এলাকায় অবস্থিত প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করা নারী শ্রমিকরা বলেন, নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। স্বামীর আয়ের পাশাপাশি আমরাও এখন আয় করতে পারি। প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানায় আমাদের চাকরি হইছে। প্রতি মাসে বেতন পাই। আর কি চাই জীবনে।

প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করা পুরুষ শ্রমিক বলেন, রিসাইক্লিং করা এসব প্লাস্টিকের টুকরো থেকে নতুন পণ্য তৈরির পাশাপাশি বিদেশে করা হচ্ছে রফতানি।

পলাশপুর এলাকার প্লাস্টিক কারখানা মালিক জহিরুল ইসলাম বলেন, পরিত্যক্ত বিভিন্ন প্লাস্টিক সামগ্রী সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত শেষে ঢাকায় বিক্রি করছেন তারা। আর এই প্লাস্টিকের টুকরো থেকে নতুন পণ্য তৈরির পাশাপাশি বিদেশেও হচ্ছে রফতানি।

দেশের আয়ও বাড়ছে। বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, পুরো বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। সেখানের নারী পুরুষের কর্মসংস্থান বাড়ছে। যারা নতুন উদ্যোক্তা রয়েছে তাদের সব সময় সহযোগিতা জন্য জেলা প্রশাসক পাশে রয়েছে। প্রতি বছর বরিশাল নগরীর ৭টি কারখানা থেকে প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন কাটা প্লাস্টিকের বোতল রাজধানীতে পাঠানো হয়।
বিআরইউ

Link copied!