ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

লংগদুতে পানিবন্দি তিন শতাধিক পরিবার

লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধি:

লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধি:

আগস্ট ২২, ২০২৪, ১১:৩১ এএম

লংগদুতে পানিবন্দি তিন শতাধিক পরিবার

উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে হু হু করে বাড়ছে মাইনী নদীর পানি। পাশাপাশি দেশের বৃহত্তর জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল দিয়ে বয়ে যাওয়া কাঁচালং নদীর শাখা নদীসহ কাপ্তাই হ্রদের পানিও বাড়ছে। ফলে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে নদীর তীরবর্তী ও হ্রদের পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার। অনেকেই তাদের শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশু উঁচু স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। ক্লাসে পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তারমধ্যে রয়েছে একটি প্রাথমিক, একটি মাধ্যমিক ও একটি মাদ্রাসা।

স্থানীয়রা জানায়, ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজানের ঢলের কারণে নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে আটারকছড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লেমু ছড়ি, উত্তর ইয়ারংছড়ি, ডাঙ্গাবাজার সংলগ্ন কিছু এলাকা ছাড়াও মাইনীমূখ, বগাচতর ও কালাপাকুজ্জ্যা ইউনিয়নের কয়েকটি বিচ্ছিন্ন গ্রামে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে স্বল্প মেয়াদি বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

এদিকে নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন চাষাবাদের জমি তলিয়ে গেছে। পানির স্রোতে ভেঙ্গে গেছে নদী পারাপারের বাঁশের সাঁকো।

আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অজয় চাকমা মিত্র বলেন, আমার ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার। প্রশাসনের নির্ধারিত দুটি আশ্রয় কেন্দ্র তলিয়ে যাওয়ায় তাদের এখন আরও করুণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এমকে ইমাম উদ্দিন জানান, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে ও শ্রেণিকক্ষসহ আশপাশের আরও গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে শিক্ষকরা ক্লাসে পাঠদান করার মতো পরিবেশ না থাকায় কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, মাইনী নদী ও কাপ্তাই হ্রদের নদীর বৃদ্ধির বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছি। সরকারিভাবে সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খবর রাখা হচ্ছে এবং নদীর তীরবর্তী পানি বন্দিদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রে ও সুবিধাজনক স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য। তাদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।

বিআরইউ

Link copied!