ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

কয়েকযুগ পর উন্নয়নের ছোঁয়া পাচ্ছে ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জ গোহাটি

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম

কয়েকযুগ পর উন্নয়নের ছোঁয়া পাচ্ছে ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জ গোহাটি

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রানীগঞ্জ গোহাটি। জেলার বৃহৎ হাটগুলোর মধ্যে এটি একটি। প্রতিবছর এই গোহাটি থেকে কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব পায় সরকার। তবে কোটি টাকা রাজস্ব দেওয়া এই হাটে হয়নি লাখ টাকার উন্নয়ন। বাজারের মাঝ থেকে হাটের অবস্থান স্থানান্তর হলেও, ছিল না রাস্তা, শৌচাগার এবং হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের রাত্রী যাপন করার নির্দিষ্ট স্থান। 

তবে দীর্ঘ কয়েকযুগ পর যেন নবরূপে সাজছে ঐতিহ্যবাহী রাণীগঞ্জ গোহাটি। মহাসড়ক থেকে হাটে যাবার জন্য তৈরি করা হচ্ছে আধুনিক আরসিসি রাস্তা। হাটে আসা গবাদিপশু ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে শৌচাগার। এছাড়াও হাটে আসা ব্যক্তিদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে একটি মসজিদ এবং হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা গরু, ছাগল সহ অন্য প্রাণীদের সহজেই পানি পান করানো সহ গোসল দেওয়ার জন্য ইট-সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পানি ধরে রাখার হাউজ।

এসবের ফলে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা হলো এই হাটে। এতে করে হাটটিতে বৃদ্ধি পাবে ক্রেতা-বিক্রেতা সহ গবাদিপশু ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি। বাড়বে কেনা-বেচা। ভোগান্তি কমার পাশাপাশি বাড়বে সরকারের রাজস্ব। 

ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, রাণীগঞ্জ গোহাটির উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে ২ কোটি টাকা। দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে হাটটিতে যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হচ্ছে ১ হাজার মিটার আরসিসি রাস্তা।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) এই রাস্তা উন্নয়ন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। এরআগে চলতি বছর হাটটির ইজারা পান।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা রাণীগঞ্জ বাজারের হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় ছিল গোহাটির অবস্থান। সপ্তাহে দু’দিন এই হাটে গরু-ছাগল কেনা-বেচা হয়। এই দুটি বাজার এবং মহাসড়কে অস্বস্তিকর যানজট সৃষ্টি হওয়ায় হাটটি প্রায় ১ কিলোমিটার দুরে স্থানান্তর করা হয়। নতুন স্থানে হাটটিতে যাবার জন্য ছিল না তেমন কোন রাস্তা। হালকা বৃষ্টিতে লালমাটির রাস্তা রূপ নিতো কাঁচার স্তূপে। গবাদিপশু বহন করা তিন ও চার চাকার যানবাহন যাতায়াত করা ছিল দুষ্কর। যার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো ব্যবসায়ীদের। 

স্থানীয় তালেবুর রহমান বলেন, অনেকদিন পর হাটের উন্নয়ন হচ্ছে। নতুন রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণের অনুরোধ জানাচ্ছি। নচেৎ রাস্তাটি পুরোপুরি ভেঙ্গে যেতে পারে। 

আইনুল ইসলাম নামে আরেকজন বলেন, আগে মাটির রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করা যেত না। নতুন রাস্তা হচ্ছে। এতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধা হলো। আমরা গ্রামবাসীও এই রাস্তার সুবিধা ভোগ করতে পারবো।

সংশ্লিষ্ট ৩নং সিংড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, দেশের সকল জেলার ব্যবসায়ী এই হাটে আসেন।  হাটটি থেকে সরকার প্রায় ১৮ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন ফান্ডে ১৫ শতাংশ হিসেবে আমরা প্রায় ২ কোটি টাকা পেয়েছি। সেই টাকা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এছাড়াও হাটের ভেতরে ৯টি শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। হাটের উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। বৃহৎ এই হাটের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান থাকবে।

বিআরইউ

Link copied!