ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

তজুমদ্দিনে ১২৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি:

তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি:

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম

তজুমদ্দিনে ১২৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

দেশের সব শহীদ মিনারে চলছে মহান শোক দিবসও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শেষ সময়ের প্রস্তুতি, ২১ ফেব্রুয়ারির সকালে ফুলে ফুলে সেজে উঠবে শহীদ মিনারের বেদি।প্রভাতফেরিতে অংশ নিবে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। তবে তজুমদ্দিনের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে সেখানেই শ্রদ্ধা জানায়।আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে দিবসটি পালনই করা হয় না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১৪৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া ১২৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে নেই কোনো শহীদ মিনার। এতে করে পল্লী অঞ্চলের কোমলমতি শিশু ও তরুণ ছাত্র ছাত্রীরা ৫২’র ভাষা আন্দোলন ও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

দেখা যায়, ২১ শে ফেব্রুয়ারি এলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বাঁশ আর কলা গাছ দিয়ে একটি শহীদ মিনার তৈরি করে আর তা দিয়েই ভাষা শহীদদের স্মরণ করে।

উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, তজুমদ্দিন উপজেলায় মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৪৪ টি। এরমধ্যে কলেজ ২টি, ডিগ্রি কলেজ ১টি,উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২টি, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫ টি, দাখিল মাদ্রাসা ৭ টি, আলিম ৫ টি, ফাজিল ২টি, কামিল ১ টি। প্রাথমিক বিদ্যালয় ১১০ টি।মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৪৪ টি। সেসব শহীদ মিনার বছরজুড়ে পড়ে থাকে অযত্ন-অবহেলায় এবং অরক্ষিত অবস্থায়। ফলে এসব বিদ্যালয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চসহ অন্যান্য জাতীয় দিবস পালন করা হয় শুধু জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে।

এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহীদ মিনার না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আবার প্রত্যন্ত এলাকার অনেক শিক্ষার্থী ভাষা আন্দোলন ও শহীদ দিবস সম্পর্কে জানে না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. জুয়েল বলেন, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। শিক্ষার্থীদের ভাষাশহিদ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে শহীদ মিনার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণে শিক্ষা প্রশাসন, অভিভাবক ও স্থানীয় বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. এনায়েতুর রহমান বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার প্রয়োজন। তাই উপজেলায় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার এখনো নির্মাণ করা হয়নি,এ বছর সেই সব প্রতিষ্ঠানে পিইডিপি-৫ প্রকল্পের আওতায় শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অ:দা:) মো.রেজাউল করিম বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণের সরকারি কোনও তহবিল নেই। তবে ভাষা শহীদদের প্রতি যথার্থ মর্যাদা দিতে হলে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ জরুরি।

বিআরইউ

Link copied!