ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্ধান

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

মার্চ ৭, ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম

ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্ধান

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাক মিয়ার ৪৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দুদকের তদন্তে কী পাওয়া গেছে?

দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, চেয়ারম্যান থাকাকালীন লাক মিয়ার ৪৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৫১ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়াও, তার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের নামে থাকা ১৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪৬১ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ২৩০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা জমা ও ২৩০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

লাক মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ

আড়াইহাজার থানা সূত্রে জানা গেছে, লাক মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা, চেক জালিয়াতি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৯টি মামলা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই তিনি অসংখ্য নিরীহ মানুষের জমি জবরদখল করে ফকিরবাড়ী এলাকায় ভাই ভাই স্পিনিং মিলসহ একাধিক কারখানা গড়ে তুলেছেন। চেয়ারম্যান হওয়ার পর তার অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ

তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তার ভাতিজা নাইম ধর্ষণের অভিযোগে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে পুনরায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে।

তার বড় ভাই হক মিয়া জমি দখল ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত তার ব্যক্তিগত কর্মচারী মহসিন মোল্লা মাত্র ১২ হাজার টাকা বেতন পেলেও তার ১৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার ৩২২ কোটি ৭৬ লাখ টাকার লেনদেন পাওয়া গেছে।

মহসিন এনআরবি টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ও মেসার্স এনআরবি ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ৫ হাজার ১৬১ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা এবং ৫ হাজার ১৬১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন।

গত ৫ আগস্ট থেকে তিনি গা ঢাকা দেন। পরে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি রূপগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজের টোল প্লাজা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (গ অঞ্চল) মেহেদী ইসলাম তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ইএইচ

Link copied!