ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

কালীগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে গ্রামবাসীর বিক্ষোভ

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

এপ্রিল ৬, ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম

কালীগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে গ্রামবাসীর বিক্ষোভ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর বেঁদেপল্লীতে আবু তালেব নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনার মামলা থেকে মাস্টারমাইন্ডকে বাদ দেওয়া এবং সাদা কাগজে বাদীর স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে থানায় অবস্থান এবং সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বেঁদেপল্লীর বাসিন্দারা।

তারা কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।

রোববারি সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের বেঁদেপল্লীর প্রায় ২ শতাধিক নারী-পুরুষ থানায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করার পর তারা ওসির সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইলেও দেখা পাননি।

পরে, তারা শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে যশোর-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধের ফলে রাস্তার দু’পাশে শতাধিক গাড়ি আটকে পড়ে। পরবর্তীতে তারা তিন দিনের মধ্যে ওসির অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক থেকে সরে যান।

জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল ভোররাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে আবু তালেব নামের এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে লোহার রড দিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিনই নিহতের ভাই আব্দুল আলীমকে থানায় ডেকে মামলার বাদী করা হয়, কিন্তু এজাহারে কি লেখা আছে তা তিনি কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ করেন। মামলায় রুবেল হোসেন নামের একজনকে আসামি করা হয়, যাকে ওইদিনই গ্রেফতার করা হয়।

নিহতের ভাই মোহাম্মদ আব্দুল আলীম বলেন, "ঘটনার দিন আমরা থানায় গিয়েছিলাম। তখন ওসি আমাদের বের করে দেন এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে একটি মামলা নথিভুক্ত করেন। কিন্তু এজাহারে কি লেখা, সেটি আমরা জানি না।" তিনি অভিযোগ করেন, ওসি নিজের মনমতো এজাহারে একজনকে আসামি করেছেন, তবে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সেলিমকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যিনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তিনি আরও দাবি করেন, কালীগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যরা সেলিমের সাথে যোগাযোগ করে তার কাছ থেকে টাকা নেন।

নিহতের স্ত্রী জানেদা বেগম বলেন, "ওসি বলেছে যে, আমার সন্তানরা আবু তালেবের পক্ষের নয়। আমার সন্তানদের নিয়ে আমি কোথায় যাবো? ওসি টাকার বিনিময়ে সেলিমের নাম বাদ দিয়েছে। এই ওসিকে কালীগঞ্জে চাই না।"

মামলার আসামি রুবেল হোসেনের স্ত্রী মাবিয়া খাতুনও বিচারের দাবিতে থানায় এসেছিলেন। তিনি জানান, তার স্বামীকে সেলিম ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করিয়ে আবু তালেবকে হত্যা করায়। তিনি তার স্বামী রুবেল এবং সেলিমের বিচার চান।

এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের সরকারি মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর মোরশেদের মোবাইলে ফোন দেওয়া হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া মুঠোফোনে জানান, তিনি কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার জন্য নড়াইলে আছেন এবং স্যারের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

ইএইচ

Link copied!