মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
মে ৮, ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
মে ৮, ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
চার বছর আগে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মহিষকাটা বাজারের পূর্ব পাশে শ্রীমন্ত নদীর ওপর মহিষকাটা-আন্দুয়া-কলাগাছিয়া সংযোগ ৯০ মিটার দীর্ঘ আয়রন সেতুটি ভেঙে পড়ে। এতে উপজেলার শহরের সঙ্গে পূর্ব পাশের অন্তত ছয়টি গ্রামের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দীর্ঘ সময়েও সেতু পুনর্নির্মাণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায়, জনসাধারণ চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। ফলে এলাকাবাসী দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
মহিষকাটা বাজার থেকে দক্ষিণ দিকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ঝাটিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন শ্রীমন্ত নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলেও, তা থেকে কলাগাছিয়া ও আশপাশের গ্রামগুলোতে যাতায়াত করা এখনো কষ্টসাধ্য। ফলে এলাকার মানুষকে এখনো খেয়া নৌকার উপর নির্ভর করেই চলাচল করতে হচ্ছে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩-০৪ অর্থবছরে মহিষকাটা-আন্দুয়া-কলাগাছিয়া সংযোগ সড়কে শ্রীমন্ত নদীর ওপর ৯০ মিটার দীর্ঘ আয়রন সেতুটি নির্মাণ করে এলজিইডি। এটি শ্রীমন্ত নদীর ওপর একমাত্র সেতু ছিল, যা ২০২১ সালে একটি অটোগাড়িসহ ভেঙে পড়ে। এতে একজন মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত হন এবং কয়েকজন আহত হন বলে জানান মহিষকাটা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজু খান।
তিনি আরও জানান, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের অন্তত ৪-৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়, যার ফলে সময় ও অর্থ দুইয়েরই অপচয় হয়। নদীর পূর্ব পাশের গ্রামগুলোর মানুষ এখন খেয়া নৌকায় যাতায়াত করছে, যা বর্ষা মৌসুমে আরও বিপদজনক হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে কলাগাছিয়া, আন্দুয়া, রামনাবাদসহ অন্তত ছয়টি গ্রামের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা শহর থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘদিনেও নতুন সেতু নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
এ প্রসঙ্গে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, “শ্রীমন্ত নদীর ওপর সেতুটি অনেক আগেই ভেঙে গেছে এবং এটি পুনঃসংস্কারের সুযোগ নেই। সেখানে একটি নতুন সেতু নির্মাণ প্রয়োজন। এলজিইডির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে স্থানটি পরিদর্শন করেছেন এবং একটি নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্র দ্রুত কাজ শুরু হবে।”
প্রসঙ্গত, একই উপজেলার ডোকলাখালী এবং পাশ্ববর্তী বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ সংযোগ আয়রন সেতুটিও ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি ধানবোঝাই একটি ট্রলারের ধাক্কায় ভেঙে যায়। সেটিও এখনো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে, ফলে দুই উপজেলার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ইএইচ