মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মে ৯, ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মে ৯, ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাটে লৌহজং নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবিতে সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী।
শুক্রবার বিকেলে পৌরসদরের বাবু বাজার এলাকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, প্রতিদিন কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাট দিয়ে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ পারাপার করেন। খেয়াঘাটটি জেলা পরিষদ থেকে প্রতিবছর ইজারা দেওয়া হয়। ইজারাদার বর্ষাকালে খেয়া নৌকা এবং গ্রীষ্মকালে বাঁশের সাঁকোর মাধ্যমে যাত্রী পারাপার করে থাকেন। খেয়া নৌকা ব্যবহার করতে গিয়ে অতীতে বেশ কয়েকটি প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। গ্রীষ্মকালে নদীর উভয় পাড়ের ঢালু জায়গা দিয়ে সাঁকোতে উঠতে গিয়ে বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
এছাড়া রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিতে গিয়ে খেয়া বা সাঁকোর কারণে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়, যা সময় ও জীবন—উভয়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান ভুক্তভোগীরা। গত শনিবার জোয়ারের পানিতে সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে সাধারণ মানুষকে তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে মির্জাপুর বাজারে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সেতু নির্মাণের দাবিতে বাবু বাজার, সরিষাদাইড়, আন্ধরা, দুর্গাপুর, ভাওড়া, মন্দিরাপাড়া, মুসলিমপাড়া ও পাহাড়পুরসহ আশেপাশের গ্রাম থেকে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ সমাবেশে অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—প্রাণ গোপাল সাহা, মুক্তি সাহা, সাত্তার হোসেন, বাবলু কর্মকার, পিন্টু সাহা, শ্রীদীপ সাহা, ভাওড়া ইউপি সদস্য ময়নাল হক, মন্তোষ কর্মকার ও সালাউদ্দিন ডন।
এ বিষয়ে কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় বলেন, “খেয়াঘাট এলাকায় একটি পায়ে হাঁটার সেতু নির্মিত হলে সাধারণ মানুষের জন্য তা খুবই উপকারী হবে।”
উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল সাজ রিজন জানান, “এই জায়গাটি কুমুদিনী ট্রাস্টের আওতাধীন। ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ চাইলেই এখানে একটি বড় সেতু নির্মাণ সম্ভব। চাইলে ফুটওভার ব্রীজ নয়, পূর্ণাঙ্গ সেতুও করা যেতে পারে।”
ইএইচ