ভেড়ামারায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের অভিযান

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

শনিবার দুপুরে পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানের সময় উপজেলা প্রশাসনের গাড়ি দেখে পদ্মার চর থেকে বালু বোঝাই ড্রাম ট্রাক দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অভিযানে অবৈধভাবে স্থাপন করা একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ভেঙে দেওয়া হয়। তবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের আগমনসংবাদের ভিত্তিতে তারা পালিয়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বাহিরচর ইউনিয়নের তোরিয়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ভোরে পাওয়া এক সংবাদের ভিত্তিতে হার্ডিঞ্জ ও লালন শাহ ব্রিজের মাঝামাঝি স্থান পরিদর্শন করা হয়। তবে সেখানে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কোনো সরাসরি আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, "এই জায়গাটি বালুমহল নয়, এটি তোরিয়া মহল। এখানে শুধুমাত্র লালপুর থেকে আসা নৌযানগুলো বালু আনলোড করে। তবে কেউ যদি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

তিনি আরও জানান, এর আগে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩০টি মামলা দিয়ে ১১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১২ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ভেড়ামারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, “লালন শাহ ব্রিজের পাশে অবৈধভাবে বালি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ঘর তৈরি করা হয়েছিল, সেটি আজ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় কোনো স্থাপনা বা বালু উত্তোলন করা যাবে না। পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে, এবং সেই নির্দেশনা অনুযায়ী উত্তোলন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।”

অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনোয়ার হোসাইন। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ।

প্রশাসন জানিয়েছে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে এবং এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

ইএইচ