Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৪ জুন, ২০২৫,

ধামরাইয়ে একই পরিবারের ৩ জনের লাশ উদ্ধার

মাসুদ রানা, ধামরাই (ঢাকা)

মাসুদ রানা, ধামরাই (ঢাকা)

জুন ২, ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম


ধামরাইয়ে একই পরিবারের ৩ জনের লাশ উদ্ধার

ঢাকার ধামরাইয়ে এক গৃহবধূ ও তার দুই সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে নিহত নারগিস আক্তারের স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে।

সোমবার দুপুরে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন—সেই এলাকার মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী নারগিস আক্তার (৪২) ও তার দুই ছেলে মো. শামীম (১৭) এবং সোলাইমান (৬)।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে বিষক্রিয়াজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি আত্মহত্যা, না কি পরিকল্পিত হত্যা—তা নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। নিহতদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে খাওয়া ভাত ও ডিমভাজি জব্দ করেছে পুলিশ।

এদিকে নিহত নারগিসের জামাই রবিন হোসেন বলেন, “আমার শাশুড়ি ও শালারা যে ভাত ও ডিমভাজি খেয়েছে, আমিও সেই খাবার খেয়েছি। খাবারে বিষক্রিয়া থাকলে আমারও ক্ষতি হতো।”

নিহত নারগিসের মেয়ে নাসরিন বেগম বলেন, “বাড়ি এসে দেখি সব দরজা-জানালা বন্ধ। বাইরে থেকে দরজা খুলে ঘরে ঢুকি। দেখি ফ্যান চলছে, মা শুয়ে আছেন ভেবে পায়ের কাছে বসি। স্পর্শ করে দেখি পা একদম শক্ত হয়ে গেছে। তখন মায়ের গা থেকে কাঁথা সরিয়ে দেখি, দুই ভাইও পাশে শুয়ে আছে। মা’কে জড়িয়ে ধরি, দেখি তিনজনই মৃত।”

আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আত্মহত্যা করলে আমার মা একা করত। দুই ভাই কেন করবে? এমন কোনো পারিবারিক সমস্যা ছিল না। তবে আমাদের জমি নিয়ে দাদা-দাদি ও চাচাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। মা কিছুদিন আগে তাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করতে চেয়েছিলেন। আমার নানা তাকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমি বিশ্বাস করি, আমার দাদা-দাদি ও চাচারা মিলে বালিশচাপা দিয়ে মা ও দুই ভাইকে হত্যা করেছে।”

ঢাকা জেলা পুলিশের সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির বলেন, “বিকেলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। দেখি বিছানায় মা ও দুই ছেলের নিথর দেহ পড়ে আছে। শরীরে কোনো দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন নেই। ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল, যা নিহত নারীর মেয়ে বাইরে থেকে খুলে মরদেহ দেখে।”

তিনি আরও বলেন, “এটি আত্মহত্যা, না কি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড—তা এখনও নিশ্চিত নয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”

ইএইচ

Link copied!