Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫,

ময়মনসিংহে ছাত্রলীগ নেতার রহস্যজনক মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ

আব্দুল্লাহ আল আমীন, ময়মনসিংহ

জুন ১৬, ২০২৫, ১১:৫২ পিএম


ময়মনসিংহে ছাত্রলীগ নেতার রহস্যজনক মৃত্যু

ময়মনসিংহ শহরের শান্তিনগর এলাকায় হঠাৎ করে মৃত্যুবরণ করেছেন নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা মো. রুহুল আমিন আকাশ (৩০)। 

সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় একটি মসজিদের সামনে সড়কে পড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আকাশ রোববার রাতে ময়মনসিংহ শহরের শান্তিনগরে তার বড় বোন নাফিয়া আক্তারের বাসায় বেড়াতে যান। 

পরিবারের সূত্র জানায়, সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় আলহাজ্ব সিরাজ আলী জামে মসজিদের সামনে পড়ে যান তিনি। পাশেই থাকা স্থানীয় বাসিন্দা ঈসমাইল হোসেন ও গৃহকর্মী মোছা. বকুল আক্তার তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

ভগ্নিপতি মো. আনিছুর রহমান (আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, বোম্বের সুইটস) বলেন, “গত রাতে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সে আমাদের বাসায় আসে। সন্ধ্যায় কিছুটা অসুস্থতা অনুভব করে ও বমিও করে। সকালে সে হাসপাতাল যাওয়ার কথা বলে বের হয়েছিল।”

রুহুল আমিন আকাশ দেড় মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্ত্রী গাজীপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। পরিবারের দাবি, শারীরিক দুর্বলতার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

তবে এ ঘটনাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই একে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলে দাবি করছেন। বিশেষ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এবং কিছু ভেরিফায়েড পেজ এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সোমবার বিকেলে ‘বাংলাদেশ স্টুডেন্ট লীগ’ নামক ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে বলা হয়, “ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন আকাশের মৃতদেহ রাস্তার পাশে পাওয়া গেছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, “প্রাথমিকভাবে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই ধারণা করা হচ্ছে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।”

পুলিশ জানায়, নিহতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি, তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, আকাশ কিছুদিন ধরে মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত ছিলেন। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের চাপে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছিল বলেও তারা জানান।

ঘটনার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন মহল।

ইএইচ

Link copied!