Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫,

কলাপাড়ায় লড়াই হবে ধানের শীষ ও হাতপাখার, পিছিয়ে নেই দাড়ি পাল্লাও

ওমর ফারুক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

ওমর ফারুক, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

জুন ১৮, ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম


কলাপাড়ায় লড়াই হবে ধানের শীষ ও হাতপাখার, পিছিয়ে নেই দাড়ি পাল্লাও

পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও মহিপুর) আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তৎপরতা ও গুঞ্জন। এ আসনে বিএনপির ‘ধানের শীষ’ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ‘হাতপাখা’ প্রতীকের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা দিলেও জামায়াতে ইসলামীও ‘দাঁড়ি-পাল্লা’ প্রতীক নিয়ে পিছিয়ে নেই।

এছাড়া গণঅধিকার পরিষদ, এনসিপি এবং বাংলাদেশ আমজনতা পার্টি প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিলেও মাঠে তেমন কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, একাধিক নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় এবার ভোটারদের আগ্রহ অনেক বেশি। বিশেষ করে নতুন ভোটাররা প্রথমবার ভোটাধিকার প্রয়োগে উৎসাহী এবং যোগ্য, জনবান্ধব প্রার্থীকেই নির্বাচিত করতে চান।

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হওয়া প্রায় নিশ্চিত। তবে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকে কে লড়বেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়নপ্রত্যাশী তিন হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন সদ্য বিএনপি থেকে যোগদানকারী দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, দলটির উপজেলা সভাপতি মুফতী হাবিবুর রহমান হাওলাদার এবং মহিপুর থানা শাখার সিনিয়র সদস্য ও জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ।

দলের প্রার্থী নির্ধারণে আগামী ২১ জুন কলাপাড়ায় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। ওইদিন ভোটের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।

এই কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে প্রার্থীরা সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান নিয়মিত ইউনিয়নভিত্তিক শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, অংশ নিচ্ছেন ইজতেমাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। অপরদিকে দীর্ঘ ২০ বছরের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মুফতী হাবিবুর রহমান হাওলাদারও ভোট আদায়ে ব্যাপক তৎপর।

তবে প্রার্থীদের মধ্যে তুলনামূলক কম প্রচারণায় থাকলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ। বর্তমানে তিনি ২৮ জুন ইসলামী আন্দোলনের ঘোষিত মহাসমাবেশ বাস্তবায়নে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাব ও প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে তাকে সামাজিক কর্মকাণ্ডে অবদানের জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমার লক্ষ্য দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজ করা। কাউন্সিলে যিনি নির্বাচিত হবেন, আমরা সবাই মিলে তাকে নিয়ে কাজ করবো।”

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসলামিক অঙ্গনে সুপরিচিত, শিক্ষিত এবং সমাজসেবায় নিবেদিত হওয়ায় নতুন ভোটারদের মাঝে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন মুফতী মিছবাহ। এমনকি বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অনেক ভোটারও তাকে সমর্থন করতে পারেন বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

ইএইচ

Link copied!