আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো
জুন ২৯, ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম
ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ছয়লেন বিশিষ্ট মহাসড়ক নির্মাণ এবং বরিশাল-বাউফল সড়কের অসমাপ্ত নেহালগঞ্জ ও গোমা সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করে বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ও স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির নেতৃবৃন্দ। পরে তারা জেলা প্রশাসক এবং সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের যানবাহনের চাপ আগের তুলনায় তিনগুণ বেড়েছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ছয়লেনের এক্সপ্রেসওয়ে থাকলেও সেখান থেকে বরিশাল হয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার সড়ক এখনো দুই লেনের। ফলে প্রতিদিনই ভয়াবহ যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটছে।
তারা আরও বলেন, বরিশাল-বাউফল সড়কের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু—নেহালগঞ্জ ও গোমা—এখনো অসমাপ্ত। এতে বরিশাল, পটুয়াখালী, বাউফলসহ উপকূলীয় এলাকার আন্তঃজেলা যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে, যা উন্নয়নের গতি রুদ্ধ করছে।
কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, “পদ্মা সেতুর সুফল থেকে এখনো বঞ্চিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। নানা গড়িমসি, প্রকল্প বাতিল ও স্থবিরতা এই অঞ্চলের উন্নয়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “নদীঘেরা এই অঞ্চল যুগ যুগ ধরে অবহেলিত। মহাসড়ক প্রশস্ত না হওয়ায় শিল্পায়ন হয়নি, অর্থনৈতিক অগ্রগতিও থমকে আছে। আমরা চাই, ভাঙ্গা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ছয়লেনে উন্নীত করা হোক এবং দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর নির্মাণ দ্রুত সম্পন্ন হোক।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান, সদস্য নজরুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক হাওলাদার, সমাজকর্মী কামরুন নাহার বেগম এবং বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। স্মারকলিপিটি দ্রুত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।”
সড়ক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম জানান, “গোমা সেতুর নির্মাণকাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। নেহালগঞ্জ সেতু নিয়েও মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।”
ইএইচ