ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় বেচাকেনার ধুম

রফিকুল ইসলাম, পূর্বাচল প্রতিনিধি

রফিকুল ইসলাম, পূর্বাচল প্রতিনিধি

জানুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০৫:৩০ পিএম

ছুটির দিনে বাণিজ্য মেলায় বেচাকেনার ধুম

শুক্রবার ছুটির দিনে পূর্বাচলে বাণিজ্যমেলা ছিল দর্শক-ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।

সরকারি ছুটির দিনে ২৭তম ঢাকা আর্ন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় যেন জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। শীত, হালকা কুয়াশা এবং কাঁচা রোদ গায়ে মেখে পরিবার-পরিজন আর বন্ধুবান্ধব মিলে এক অঙ্গিনায় এ যেন মিলন মেলা।

ক্রেতা আর দর্শনার্থী ছিল সমানে সমান। বিকেলে মেলায় বেচা-কেনার ধুম ছিল। তবে বিদেশী পণ্যের চেয়ে দেশি পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ ছিল বেশি।

শিশুদের হৈ-হুল্লোড় আর তারুণ্যের কোলাহল সকাল থেকেই দেখা গেছে বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ। 

শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই দর্শনার্থী আসা শুরু করলেও তা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢল নামতে শুরু করেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ ভিড় পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

মেলা প্রাঙ্গণসহ এর আশপাশের এলাকাও হয়ে উঠেছে লোকে লোকারণ্য। দুপুরের পর থেকে মেলায় প্রবেশের লাইন লম্বা হতে থাকে। শেষ বিকেলে মানুষের ভিড়ে পা ফেলাও দায় হয়ে ওঠে। শুক্রবার সরেজমিনে মেলা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সকালের দিকে যারা প্রবেশ করেছে তাদের অনেকেই বাসা থেকে খাবার নিয়ে এসেছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে মাঠে দুপুরের খাবার গ্রহণ করতে দেখা গেছে। তাদের অভিযোগ মেলায় খাবারের মূল্য অনেক বেশি। তাছাড়া খাবারের মানও অনেক খারাপ। তাই বাসা থেকেই খাবার নিয়ে আসা হয়েছে।

মেলার ১৩তম দিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেলার স্টলগুলোয় ছিল ক্রেতার উপচেপড়া ভিড়। পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রেতারা বেছে নিচ্ছেন সাজানো উপকরণগুলো।

শিশুদের পছন্দের তালিকায় ছিল খেলনার দোকান। রিমোট কন্ট্রোল ও ব্যাটারিচালিত খেলনাসামগ্রী বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।

আর তরুণীদের বেশির ভাগকেই দেখা গেছে সালোয়ার-কামিজের দোকানে ভিড় জমাতে।

মেলায় অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, চলতি বছরের প্রথম দিনে মেলা শুরু হলেও এতদিন বেচা-কেনা তেমন ছিল না। তবে যতই দিন যাচ্ছে ততই বেচা-বিক্রি বাড়ছে। গতকাল মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে। সেই সাথে বেচা-কেনারও ধুম বেড়েছে।
ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বলছেন, আজ শীত কম ও ছুটির দিন থাকায় তারা কেনাকাটা করতে এসছেন।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের আকর্ষণে বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় অফার দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। মূল্য ছাড়, তিনটি কিনলে একটি ফ্রি এ জাতীয় অফারে হুমড়ি খেয়ে পণ্য কিনছেন ক্রেতারাও।

বিভিন্ন কোম্পানির বিক্রয়কর্মীরা বলছেন, প্রতি বছরই মেলা উপলক্ষে সব ধরনের পণ্যে বিশেষ ছাড় দেয়া হয়। ফলে স্টল-প্যাভিলিয়নে ছুটে আসছেন গ্রাহকরা। কেউ কিনছেন, কেউ দেখছেন।

গুলশান থেকে মেলায় আসা মামুন-তাহমিনা দম্পতি বলেন, মেলায় ছাড় পাওয়া যায়। তাছাড়া ছুটির দিনে ঘুরতে আসা। পাশাপাশি কিছু কেনাকাটা করা। সব মিলে বাণিজ্য মেলায় আসাটাই এক ধরনের আনন্দের বিষয়।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, মেলায় সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে গৃহস্থালি পণ্যের। বিশেষ করে প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের স্টলগুলোতে ভিড় বেশি লক্ষ্য করা গেছে। আর তরুণীরা ভিড় করছেন পোশাক ও গহনার স্টলে।

এবারের মেলায় মোট ৩১১ স্টলের মধ্যে বিদেশি স্টল রয়েছে ১৭ টি। মাসব্যাপী সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলবে মেলা। ছুটির দিনে খোলা থাকবে রাত ১০ টা পর্যন্ত। প্রবেশ মূল্য বয়স্কদের জন্য ৪০ ও শিশুদের জন্য ধরা হয়েছে ২০ টাকা। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য কুড়িল থেকে মেলা পর্যন্ত চলছে বিআরটিসির  শাটল বাস।

এছাড়া সজিস বিনোদনের জন্য রয়েছে শিশু পার্ক।ক্রেতা-দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় মেলায় ৭ শতাধিক পুলিশ। স্থাপন করা হয়েছে ২২০ টি সিসি ক্যামেরা।

এআরএস

Link copied!