ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

কাপ্তাইয়ে হলুদচাষে আগ্রহ বাড়ছে

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

অক্টোবর ৮, ২০২৩, ১১:৫১ এএম

কাপ্তাইয়ে হলুদচাষে আগ্রহ বাড়ছে
কাপ্তাইয়ে পাহাড়ে চাষ হচ্ছে হলুদের। ছবি- আমার সংবাদ

রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষকদের কাছে বর্তমানে লাভজনক একটি ফসলের নাম হলুদ চাষ। বিশেষ করে পাহাড়ের মাটিও হলুদ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। হলুদ একটি মসলা জাতীয় প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিদায় হলুদের চাহিদা রয়েছে অনেক বেশি। এছাড়া বাজার দর ভালো হওয়ার কারণে পার্বত্য অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে এ মসলা জাতীয় ফসল চাষে আগ্রহ বেড়েছে। যার ফলে দিন দিন বাড়ছে এই হলুদ চাষ।

কাপ্তাই উপজেলায় বিপুল পরিমাণে চাষ হয় হলুদের। সম্প্রতি উপজেলার ৫নং ওয়াগ্গা ইউনিয়ন এর কুকিমারা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ের কোলজুড়ে একের পর এক  হলুদের ক্ষেত। পাশাপাশি সবুজ পাহাড়ের কোল ঘেঁষে এসব হলুদচাষ নজর কাড়ছে সকলের। জানা গেছে, স্থানীয় বেশির ভাগ চাষীই এই হলুদের চাষে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

স্থানীয় কৃষক সুবিমল তঞ্চঙ্গ্যা জানান, হলুদ আবাদ সাধারণত ৯ মাসব্যাপী হয়ে থাকে আর বিঘা প্রতি কাঁচা হলুদ পাওয়া যায় প্রায় ১২০ থেকে ১২৫ মণ। হলুদে তেমন রোগ বালাই নেই বলে কৃষকদের তেমন ঝামেলা পোহাতে হয় না। তবে সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করলে এর ফলন ভালো পাওয়া যায়। পাশাপাশি বাজার দর বেশি হওয়ায় হলুদের আবাদে ঝুঁকেছেন স্থানীয় অনেক কৃষকরা।

পাহাড়ের কোলে জুম চাষের পাশাপাশি দীর্ঘবছর যাবৎ হলুদের চাষ করে আসছেন স্থানীয় আরেকজন কৃষক মনিধন তঞ্চঙ্গ্যা। তিনি হলুদ চাষের বিষয়ে জানান, একসময় জুমচাষ করে সংসার চালাতেন তিনি। তবে একবার স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি হলুদচাষ করার বিষয়ে সিন্ধান্ত নেন। এবং হলুদ চাষে অর্থ বিনিয়োগ করেন। পরবর্তীতে তিনি জুম চাষের চেয়ে হলুদ চাষ করেই বেশ লাভবান হয়েছেন বলে জানান। এরপর থেকেই তিনি হলুদের চাষ করে আসছেন। এছাড়া পাহাড়ে হলুদের চাষ সবচেয়ে বেশি ভালো হয় বলে তিনি জানান। এতে তিনি বেশ লাভবান হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন।

স্থানীয় আরেক কৃষক সুমেল তঞ্চঙ্গ্যা হলুদ চাষের বিষয়ে জানান, প্রতি বিঘা জমি হলুদ চাষের জন্য তাদের খরচ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। গত বছর প্রকার ভেদে এক হাজার টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি মণ হলুদ বাজারে বিক্রি হয়েছে। সেই তুলনায় চলতি বছর হলুদের বাজার দর আরও বেশি হবে বলে ধারণা করছেন কৃষকরা। সে কারণে তারা হলুদ বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

এবিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেহ জানান, দেশের অনান্য জেলার তুলনায় পার্বত্য অঞ্চলে চাষ করা হলুদের কদর অনেকটা বেশি থাকে। আর বিশেষ করে কাপ্তাইয়ে যেই জাতের হলুদের চাষ হয়, এটি অনেকটা ভালো মানের হলুদ। তাই এর বিক্রিও বেশি হয়ে থাকে।

এছাড়া  তিনি জানান, কাপ্তাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন এর ১৪টি ব্লকে প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়ে থাকে। তৎমধ্যে ওয়াগ্গা ব্লকে প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে হলুদের চাষ হয়ে থাকে। এছাড়া কৃষিবিভাগ থেকে স্থানীয় চাষীদের হলুদ চাষে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে সার প্রয়োগ কিংবা পোকা মাকড় দমনে কি কি করা প্রয়োজন সেই বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া পাহাড়ের অধিকাংশ কৃষক জুম চাষের সাথে সাথী ফসল হিসাবে হলুদের চাষে করে থাকে, এতে তারা সঠিক পরিচর্যা করার সুযোগ পায়। পাশাপাশি হলুদ সংরক্ষন করে রাখা যায় বলে, প্রান্তিক কৃষকেরা হলুদ চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছে। যার ফলে পার্বত্য অঞ্চলে দিন দিন হলুদের চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এআরএস

Link copied!