ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ২৪, ২০২৪, ১০:০৫ পিএম

আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ প্রায় ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ)।

সোমবার বাংলাদেশ স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে অবস্থিত আইএমএফের সদর দপ্তরে দাতা সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে এই ঋণ অনুমোদন করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্রের ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ‘আইএমএফের পক্ষ থেকে দাপ্তিরকভাবে আমাদের ঋণের তৃতীয় কিস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আইএমএফ তৃতীয় কিস্তি হিসাবে ১ দশমিক ১১৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে। এই অর্থ দুই কর্মদিবসের মধ্যে আমাদের হিসাবে জমা হবে। যা রিজার্ভে যোগ হলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বেড়ে যাবে। গতকাল মোট রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার। আর মোট রিজার্ভ থেকে প্রায় ৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বিভিন্ন চলতি দায় বাদ দিলে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ হিসাবে আইএমএফের বেধে দেওয়া লক্ষ ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার পূরণে সহায়ক হবে।’

জানা গেছে, ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফের জুড়ে দেওয়া শর্ত বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের অগ্রগতি যাচাই করতে গত ২৪ এপ্রিল ঢাকায় আসে সংস্থাটির একটি বিশেষ মিশন।

মিশনের সদস্যরা ৮ মে পর্যন্ত অবস্থান করে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে। এতে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করে। শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে তারা খুশি মনোভাব দিকিয়েছিলেন। ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে তারা প্রতিবেদনে সুপারিশ করার জন্য কথা দিয়েছিল। সেই কথা রেখেছে আইএমএফের নির্বাহী পরিষদও। আর কথার ধারাবাহিকতায় তৃতীয় কিস্তির ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার ছাড়ে অনুমোদনও দিয়েছে গতকাল।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আইএমএফ ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্ত হিসাবে চলতি জুনে রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পুনঃ:নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭৬বিলিয়ন ডলার। যা পুরণে ঘাটতি দেড় বিলিয়নের বেশি। তবু সংস্থাটির শর্তের অন্যান্য শর্তের অগ্রগতি ভালো হওয়ায় রিজার্ভকে খুব একটা আমলে না নিয়ে ঋণ অনুমোদন দিয়েছে।

অর্থমন্ত্রণালয়ের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বর শেষে ১৫ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৫ সালের মার্চ শেষে ১৬ দশিক ৬১ বিলিয়ন ডলার এবং একই বছর জুনে তা ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। অথচ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্য ছিল ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

জানা গেছে, আইএমএফের ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার এসেছে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আর দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে প্রায় ৬৮১ মিলিয়ন ডলারের আসে গত বছরের ডিসেম্বরে। আর তৃতীয় কিস্তি ছাড়ে বোর্ডে উঠে ২৪ জুন। সেখানে ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার ছাড় করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আইএমএফের বাধা সত্ত্বেও রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরের ৯ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে মোট রিজার্ভের রেকর্ড ছিল ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলয়ন ডলার। যা কমতে মাত্র ৩৪ মাসে এসে নেমেছে ২৪ বিলিয়নের ঘরে। আর ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলারে। যা আইএমএফের ১৪ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।

সোহেল/ইএইচ

Link copied!