ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

তীব্র শীতে ছুটির দিনেও ক্রেতা-দর্শনার্থী কম বাণিজ্যমেলায়

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

জানুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম

তীব্র শীতে ছুটির দিনেও ক্রেতা-দর্শনার্থী কম বাণিজ্যমেলায়

রাজধানীর উপকণ্ঠ পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা (ডিআইটিএফ)- ২০২৫। মাসব্যাপী এ বাণিজ্যমেলার আজ তৃতীয় দিন। এদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম।

আয়োজক ও বিক্রেতারা বলছেন, বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে মেলায় মানুষ আসছে কম। এছাড়া মাসের শুরুতে অনেকের বেতন-ভাতা না হওয়ার কারণে তাদের হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই। এসব কারণে ক্রেতা বাড়েনি সেভাবে। মেলায় কিছু ক্রেতা-দর্শনার্থী আসলেও তা
আশানুরূপ নয়।

বিস্ক ক্লাবের ইনচার্জ মোহাম্মদ আদনান বলেন, ঠান্ডা বেশি। সচারাচর আমাদের স্টলে প্রচুর ভিড় থাকে প্রতিবছর, এখনও আছে। তবে অন্য বছরের মতো এখনো জমেনি।

মেলায় অংশ নেওয়া দিল্লি অ্যালুমেনিয়াম ফ্যাক্টরির ম্যানেজার ইসমাইল হোসেন বলেন, অন্য বছর শুক্রবারে মেলায় প্রচুর ক্রেতা-দর্শনার্থী পাওয়া যেত। তবে এই শুক্রবার একবারে মাসের শুরুতে হওয়া ও শীতের কারণে ক্রেতা-দর্শনার্থী সমাগম কম। ফলে সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না।

মেলায় এখনো চলছে বেশিরভাগ স্টল, প্যাভিলিয়নের নির্মাণকাজ। নির্মাণসামগ্রী আনা নেওয়া এবং কাজের শব্দে বিরক্ত হচ্ছেন অনেক ক্রেতা-দর্শনার্থী। তবে স্টলের নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ থাকলেও অনেক স্টলে শুরু হয়েছে বেচাবিক্রি। মেলায় অনেক স্টলের কর্মীদের হাকডাক করে ক্রেতা ডাকতে দেখা গেছে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক স্টলে ভিড় থাকলেও কিছু কিছু স্টলে ক্রেতা-দর্শনার্থী একেবারেই কম।

কাশ্মির কার্পেটের এজাজুল হক বলেন, সকাল থেকে একটিও কার্পেট বিক্রি হয়নি। এমনকি মানুষ দেখতেও আসছে কম। যদিও এখন শীত বেশি বলে ভালো বিক্রির আশা করেছিলাম।

ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা কম থাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের অলস সময় পার করতে দেখা যায়। তবে বিকেলের দিকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা কিছু বাড়লেও তা আশানুরূপ নয়।

মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্টলে দায়িত্ব পালনকারীরা জানিয়েছেন, প্রথম দিকে সাধারণত বাণিজ্যমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা কম থাকে। যে কারণে বিক্রি হয় কম। তবে এবার অন্যবারের তুলনায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সংখ্যা আরও কম।

শুরুতে ক্রেতা-দর্শনার্থী খরা দেখা দিলেও সামনে বাড়বে বলে আশা করছে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের অভিমত, আগামী সপ্তাহ থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে বাণিজ্যমেলা জমজমাট হয়ে উঠবে।

মেলার লে-আউট প্ল্যান অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬১টি প্যাভিলিয়ন/স্টল/রেস্টুরেন্ট দেশীয় উৎপাদক-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স অ্যান্ড বিউটি এইডস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহসামগ্রী, চামড়া/আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল, টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর ইত্যাদি পণ্য মেলায় প্রদর্শন ও বিক্রি হবে।

বাংলাদেশ ছাড়াও সাত দেশের মোট ১১ প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশ নিয়েছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া।

এবারের বাণিজ্যমেলা সাজানো হয়েছে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান থিমে। এক্সিবিশন সেন্টারের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে জুলাই চত্বর, দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে কালচারাল সেন্টার, টেকনোলজি কর্নার, রিক্রিয়েশন কর্নার এবং উত্তর-পূর্ব (৬ একর) পাশে শিশু পার্ক এবং উত্তর-পশ্চিম পাশে ছত্রিশ চত্বর ও নামাজ ঘর রয়েছে।

আরএস

Link copied!